আরও পড়ুন: অযোধ্যা থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দূরে রামের বিরাট ছবি
রায় পরিবার সূত্রে জানা যায়, পূর্বস্থলী থানা এলাকার প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন রমেশচন্দ্র রায়। ১৯৩২ সালে রমেশচন্দ্র রায় এবং তাঁর ভাই সুরেশচন্দ্র রায়ের কাছে নেতাজি এসেছিলেন। তখন রমেশচন্দ্র রায়ের স্ত্রী শিবভাবিনী দেবী ছিলেন জেলা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী। রায় পরিবার সূত্রেই জানা যায়, শিবভাবিনী দেবী সেই সময় নেতাজিকে সিঙারা তৈরি করে খাইয়েছিলেন। সেই থেকে আজও নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে সিঙারা বিলি করে রায় পরিবার। এই প্রসঙ্গে রায় পরিবারের সদস্য গৌতম রায় বলেন, তেলেভাজা নেতাজি সুভাষ খেতে বেশি ভালোবাসতেন। কলকাতার বিবেকানন্দ রোডে একটি দোকনে নেতাজি মাঝে মাঝেই তেলেভাজা খেতেন। সেই দোকান থেকে ২৩ জানুয়ারি ফ্রি-তে তেলেভাজা খাওয়ানো হয়। সেই হিসেবে আমরাও তার জন্মদিনে সিঙারা বিলি করি। আগে সিঙারা বাড়িতেই তৈরি হত, তবে এখন অর্ডার দিয়ে বানানো হয় এবং সেটাই সকলের মধ্যে বিলি করা হয়।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রায় পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায় বাড়িতে নেতাজি সাংগঠনিক কাজসেরে কাষ্ঠশালি হয়ে মেড়তলা গিয়েছিলেন। নেতাজি রায় বাড়িতে এসে যে চেয়ারে বসেছিলেন সেই চেয়ারটি আজও সংরক্ষিত রয়েছে। চেয়ারটিকে সুন্দরভাবে যত্নসহকারে কাঁচের শোকেসের মধ্যে রেখেছেন পরিবারের সদস্যরা। নেতাজি যেন এই রায় পরিবারের কাছে ভগবান। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি, ছোঁয়া আজও বহন করে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর রায় পরিবার।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী