১ জুন জামাইষষ্ঠী। এটি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। বাঙালির যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠান মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়ায়। বিভিন্ন ধরনের খাদ্যবস্তুর পাশাপাশি মিষ্টি যেন বাঙালির প্রথম পছন্দের। ফলে মিষ্টি ছাড়া বাঙালির অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ অসম্ভব। তাই জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে অনেক মিষ্টি দোকানেগুলি তৈরি হচ্ছে নানা রকমের মিষ্টি। বর্তমান সময়ে খাওয়াদাওয়ার মধ্যেও এসেছে স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়। ফলে ফ্রি মিষ্টির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির পাশাপাশি এক-একটি দোকানদারেরা প্রায় ২০ থেকে ২৫ ধরনের সুগার ফ্রি মিষ্টি তৈরি করেছে।
advertisement
তমলুকের এরকমই একটি নামকরা মিষ্টি দোকানের মালিক জানান, মিষ্টি ছাড়া বাঙালির অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ। বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য সচেতনতাই সুগার ফ্রি মিষ্টির প্রতি ঝোঁক সাধারণ মানুষের। তাই অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি প্রায় কুড়ি ধরনের সুগার ফ্রী মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দোকানে রয়েছে নতুন জামাইদের জন্য স্পেশাল মিষ্টি। এবং জামাইষষ্ঠী লেখা মিষ্টিও রয়েছে। সারা বছরই মিষ্টি বিক্রি হয় তবে বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে চাহিদা বেশি থাকে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে তাই আগে থেকে মিষ্টি আগে থেকেই মিষ্টি তৈরি করা শুরু হয়েছে। এই সময় মিষ্টি তৈরির চাপ থাকেই ভালই।’
প্রসঙ্গত, জামাইষষ্ঠী আগের দিন থেকেই মিষ্টির দোকান গুলিতে মিষ্টি কেনাকাটা শুরু হয়েছে। মিষ্টি কিনতে আসা মানুষজনেরা জানান ভালো মিষ্টি পেতে হলে একটু আগেভাগেই মিষ্টি দোকানে আসতে হবে। না হলে পছন্দমতো মিষ্টিটা পাওয়া যাবে না। তাই জামাইষষ্ঠীর আগের দিন থেকেই মিষ্টির কেনাবেচা শুরু হয়েছে। বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য সচেতনতায় অনেকেই মিষ্টি থেকে বিমুখ। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন উৎসব বা বিভিন্ন অনুষ্ঠান মিষ্টি ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। জামাইয়ের পাতে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তুলে দিতে শ্বশুর-শাশুড়িরা কসুর করেন না। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে ভিড় বাড়ছে এখন থেকেই। আর বেশিরভাগ ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে সুগার ফ্রি মিষ্টির দিকে। জামাইষষ্ঠীর বাজারে রমরমা বিভিন্ন ধরনের সুগার ফ্রি মিষ্টির।
সৈকত শী