চিংড়ি, ভেটকি, কাতলা নানা ধরনের মাছের পাশাপাশি মাংস তো আছেই। তবে এইসব পদ রান্না করতে সারাদিন রীতিমতো পরিশ্রম করতে হয় শাশুড়ি মায়েদের। তবে এবার রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম এই ছবিটা বদলে দিতে তৈরি হয়েছে। এবারের জামাইষষ্ঠীতে দিঘায় মেয়ে জামাইকে নিয়ে দেদার ফুর্তি ও খাওয়া-দাওয়া করতে চান? তবে আর চিন্তা নেই, এই বিশেষ দিনে চিরাচরিত ছবিটা এবার বদলে দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠীতে জামাইকে কী খাওয়াবেন? বাজারে সবজি-ফল, মাছের আগুন দাম! কত যাচ্ছে কীসের রেট? জানুন
শাশুড়িদের রান্নাঘরের ধকল থেকে মুক্তি দিয়ে উৎসবকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তারা নিয়েছে এক অভিনব উদ্যোগ। ‘বাঙালিয়ানায় জামাই আদর’ নামের এক বিশেষ বুফে লাঞ্চ ও ডিনারের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে শ্বশুর-শাশুড়িরা মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে চাপমুক্ত থেকে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। পর্যটন নিগমের এই উদ্যোগে স্বাদের সঙ্গে ভালবাসার মেলবন্ধন ঘটবে, অর্থাৎ শাশুড়িমায়ের আদর আর জামাইয়ের রসনাবিলাসের সব ব্যবস্থা তারাই করবে।
শহরের কোলাহল থেকে দূরে, প্রকৃতির কাছাকাছি, সমুদ্র সৈকতের মনোরম পরিবেশ কিংবা শান্তিনিকেতনের শান্ত ও স্নিগ্ধ আশ্রয়ে বসেই সীমিত খরচে এই ভোজনসুখ উপভোগ করা যাবে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে আগামী ৩১ মে ও ১ জুন এই রাজকীয় ভোজের আয়োজন করেছে দিঘার দিঘালি-১। দিঘায় সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে চুটিয়ে জামাইষষ্ঠী পালন করতে চাইলেই সহজেই মিলবে সেই সুযোগ। পর্যটন আবাসনে ইতিমধ্যেই বুকিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দিঘালি -১ পর্যটন আবাসন কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, ‘এবারই প্রথম এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দু’দিনের এই আয়োজনে প্রতি লাঞ্চ ও ডিনারের মূল্য ধার্য করা হয়েছে ১০৯৯ টাকা। প্রতিদিন দু’বেলায় ৫০ করে মোট ১০০ কুপন পাওয়া হবে। দিঘালি-১ এর অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার রাজেশ দণ্ডপাঠ জানিয়েছেন, ‘বহু পর্যটক এই অভিনব আয়োজনে শামিল হতে যোগাযোগ করছেন এবং আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’ মাত্র ১০৯৯ টাকায় ২০ পদের এই রাজকীয় ভোজের মেনু দেখলে জিভে জল আসবে নিশ্চিত।
জামাই বরণ এবং মিষ্টিমুখের জন্য থাকছে লুচি আর ভাজা মশলার আলুর দম। এরপর সুগন্ধি চালের ধোঁয়া ওঠা ভাত আর লাউ দিয়ে অড়হর ডাল, গন্ধরাজ স্যালাড, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, মাছ অথবা চিংড়ির পাঁপড়, ছানার পুর ভরা পটলের দরমা, বেগুন সুন্দরী এবং কাজু কিশমিশ পোলাও-এর মতো জিভে জল আনা পদ। আমিষ পদের সম্ভারে রয়েছে গলদা চিংড়ির মালাইকারি, ভেটকি পাতুরি আর পাঁঠার কষা মাংস। শেষ পাতে মিষ্টিমুখের জন্য কাঁচা আমের চাটনি আর পাকা আম।
গ্রীষ্মের ফলের স্বাদ দেবে এক অন্য তৃপ্তি। এছাড়াও তালশাঁস সন্দেশ, পান্তুয়া, বাংলার মিষ্টি দই আর মিষ্টি পান দিয়ে শেষ হবে এই রাজকীয় ভোজ। গরমে গলা ভেজাতে ফ্রেশ লাইম সোডারও বন্দোবস্ত থাকছে। ফলে এবার জামাইষষ্ঠীতে মেয়ে জামাইকে নিয়ে জমিয়ে মজা ও সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার স্বাদ উপভোগ করুন দিঘায় এসে।
সৈকত শী






