চাষিদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জলঙ্গির তীরবর্তী নিচু জমিতে প্লাবিত হয়েছে। কুমড়ো, পাট, ঢেঁড়স, বেগুন, শাকজাতীয় সবজি ও ধান—বিভিন্ন ধরনের চাষ জমিতে করা হয়েছিল। কিন্তু নদীর জল ঢুকে পড়ায় সেই সমস্ত ফসল এখন জলে ডুবে পচে যাচ্ছে। অনেকেই ধার করে চাষ করেছিলেন, এখন তারা দিশেহারা।
advertisement
স্থানীয় কৃষক শ্যামল সরকার বলেন, “আমরা দিনরাত খেটে জমিতে ফসল ফলাই, কিন্তু একরাশ কচুরি পানার মধ্যে দিয়ে নদীর জল উঠেই গেল জমিতে। এখন সব শেষ। সরকারের পক্ষ থেকে যদি সাহায্য না মেলে, তবে সামনে অনাহার ছাড়া কিছুই দেখছি না।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে নদিয়ার জলঙ্গি নদীর বর্তমান অবস্থাও উদ্বেগজনক। নদীজুড়ে কচুরি পানায় ভরে উঠেছে। জলস্রোত চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় নদীর স্বাভাবিক গতি হ্রাস পেয়েছে, যা প্লাবনের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কচুরিপানা নদীর জলের গতি কমিয়ে দেয়, ফলে জল সহজে নামতে পারে না এবং বৃষ্টির সময় জল উপচে পড়ে চাষের জমিতে প্রবেশ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বড় পদক্ষেপ চোখে পড়েনি বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। যদিও পঞ্চায়েত সূত্রে জানানো হয়েছে, এলাকায় সার্ভে চালান হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রকৃতিগত দুর্যোগ ও নদী ব্যবস্থাপনার অভাব একসঙ্গে মিলে যে চাষিরা আজ রুটি-রুজির জন্য লড়াই করছেন, তাদের পাশে প্রশাসন কীভাবে দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Mainak Debnath