স্কুল চত্ত্বর এমনভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে, যে পঠন-পাঠন কার্যত বন্ধ হওয়ার জোগাড়। এই অবস্থায় সামনেই দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। কিন্তু এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়া আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক, এমনকি অভিভাবকেরাও।
আরও পড়ুন : হোটেল ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের দিন শেষ! দিঘার ‘বেস্ট’ ২০০ হোটেলের ভাড়া বাঁধল হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, জানুন
advertisement
অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষার সময় এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় স্কুলটিতে। এলাকাটি জুনপুট উপকূলবর্তী হওয়ায়, বর্ষার জল নামতেই সময় লাগে অনেক। তার উপর স্থানীয় পঞ্চায়েত এলাকার ড্রেনের জল এসে পড়ে বিদ্যালয়ের পুকুরে। সেই পুকুর উপচে জল ঢুকে পড়ে স্কুলের ভিতরে। ফলে স্কুল চত্বর, শ্রেণীকক্ষ, অফিস ঘর, লাইব্রেরি – সবই পরিণত হয়েছে এক জলাশয়ে।
আরও পড়ুন : দিঘায় তো বহুবার গিয়েছেন, কিন্তু কখনও দেখেছেন কি ৩০০ বছরের পুরনো এই রাজবাড়ি? সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন
জমা জলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। জন্ম নিচ্ছে মশা। বাড়ছে বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই কিছু পড়ুয়ার সর্দি-কাশি ও জ্বরের লক্ষণ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। জলমগ্ন এই অবস্থায় স্কুলে পড়াশোনা তো দূরের কথা, প্রবেশ করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে দ্বিধা বোধ করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের তরফে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হোক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের একটাই দাবি, এই সমস্যার অবিলম্বে সমাধান করুক স্থানীয় প্রশাসন। সাময়িক নয়, চাই স্থায়ী ব্যবস্থা। কারণ একুশ শতকের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল যদি বছরে কয়েক মাস জলবন্দী অবস্থায় থাকে, তাহলে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে, এই আশঙ্কাই করছেন সকলে।
মদন মাইতি