TRENDING:

পরীক্ষার প্রস্তুতি এখন ‘বিশ বাঁও জলে’! দুর্গন্ধে টেকা দায়, ক্লাসরুমে ঘুরছে সাপ

Last Updated:

বিদ্যালয়ে পা রাখাই রিস্ক! পরীক্ষার প্রস্তুতি থমকে। শিক্ষার্থীদের নতুন আতঙ্কের নাম বর্ষা। হাঁটু জলে ডুবে ভবিষ্যৎ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর : টানা কয়েকদিনের অঝোর বর্ষণে কার্যত জলবন্দী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচূনিয়া জগন্নাথ বিদ্যামন্দির। শ্রেণিকক্ষ থেকে লাইব্রেরি, স্টাফরুম থেকে অফিস ঘর- স্কুলের প্রতিটি প্রাঙ্গণে এখন হাঁটু জল। কোথাও কোথাও সেই জল কোমর ছুঁই ছুঁই। থইথই জলে ডুবে রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের বেঞ্চ, ডেস্ক—সবকিছু। আর সেই জলের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ, কেঁচো, ছোট মাছের ঝাঁক।
advertisement

স্কুল চত্ত্বর এমনভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে, যে পঠন-পাঠন কার্যত বন্ধ হওয়ার জোগাড়। এই অবস্থায় সামনেই দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। কিন্তু এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়া আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক, এমনকি অভিভাবকেরাও।

আরও পড়ুন : হোটেল ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের দিন শেষ! দিঘার ‘বেস্ট’ ২০০ হোটেলের ভাড়া বাঁধল হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, জানুন

advertisement

অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষার সময় এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় স্কুলটিতে। এলাকাটি জুনপুট উপকূলবর্তী হওয়ায়, বর্ষার জল নামতেই সময় লাগে অনেক। তার উপর স্থানীয় পঞ্চায়েত এলাকার ড্রেনের জল এসে পড়ে বিদ্যালয়ের পুকুরে। সেই পুকুর উপচে জল ঢুকে পড়ে স্কুলের ভিতরে। ফলে স্কুল চত্বর, শ্রেণীকক্ষ, অফিস ঘর, লাইব্রেরি – সবই পরিণত হয়েছে এক জলাশয়ে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : দিঘায় তো বহুবার গিয়েছেন, কিন্তু কখনও দেখেছেন কি ৩০০ বছরের পুরনো এই রাজবাড়ি? সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন

জমা জলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। জন্ম নিচ্ছে মশা। বাড়ছে বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই কিছু পড়ুয়ার সর্দি-কাশি ও জ্বরের লক্ষণ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। জলমগ্ন এই অবস্থায় স্কুলে পড়াশোনা তো দূরের কথা, প্রবেশ করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে দ্বিধা বোধ করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের তরফে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হোক।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের একটাই দাবি, এই সমস্যার অবিলম্বে সমাধান করুক স্থানীয় প্রশাসন। সাময়িক নয়, চাই স্থায়ী ব্যবস্থা। কারণ একুশ শতকের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল যদি বছরে কয়েক মাস জলবন্দী অবস্থায় থাকে, তাহলে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে, এই আশঙ্কাই করছেন সকলে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

মদন মাইতি

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পরীক্ষার প্রস্তুতি এখন ‘বিশ বাঁও জলে’! দুর্গন্ধে টেকা দায়, ক্লাসরুমে ঘুরছে সাপ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল