বাপ্পা দাসের তৈরি বলরাম, সুভদ্রা-সহ মহাপ্রভুর কাঠের জগন্নাথ দেব প্রাণ পেয়ে থাকেন এই রথযাত্রা উৎসবে। কাঠ কেটে বিভিন্ন সাইজের জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তৈরি করেন বাপ্পা। পনেরো বছর বয়সে মূর্তি তৈরীতে হাতেখড়ি। প্রথম দিকে দেখে দেখে জগন্নাথের মূর্তি তৈরি করতেন, এখন আর দেখতে হয়না। ভক্তকে দিয়ে ভগবান যেন নিজেই তৈরি করিয়ে নেন তাঁর মূর্তি। প্রভু নিজেই প্রাণ দেন তাঁর বিগ্রহে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম…! রথে দিঘা রুটে চলবে স্পেশ্যাল ট্রেন! কোন স্টেশনে কখন টাইম, জানুন
বাপ্পা দাসের কাঠের তৈরি জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা বর্তমানে পাড়ি দিয়েছে আমেরিকা, নিউইয়র্ক, অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও নেপাল, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে রওনা দিয়েছে। এছাড়া এবছর এদেশের অন্ধপ্রদেশ, ওড়িশা, হায়দ্রাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ রওনা দিয়েছে। বাপ্পা খুব খুশি বৃন্দাবনের এক ব্যক্তি ৪০ সেটের মহাপ্রভুর বিগ্রহের বরাত দেওয়ায়। গত বছর রথের আগে বাপ্পা ৫০ সেটের মহাপ্রভুর বিগ্রহের বরাত পেয়েছিলেন। এবার সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। এই কাজে বাপ্পা দাসকে সাহায্য করেন তাঁর স্ত্রী অঙ্কিতা। জগন্নাথ দেবের বিভিন্ন পোশাক তৈরি করে দেন স্ত্রী অঙ্কিতা।
বাংলা ক্যালেন্ডারের ফাল্গুন মাস থেকে শুরু করে রথযাত্রার পর্যন্ত প্রচুর বায়না থাকে এই মূর্তি তৈরি করার। বাপ্পা জানিয়েছেন, ২০০৯ সাল থেকে জগন্নাথদেবের সেবা করছেন। প্রথমে শিশু কাঠ নিয়ে জগন্নাথ দেবের মূর্তি তৈরি করতেন। তারপর থেকে এখনও চলছে। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে এই জগন্নাথ দেব বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেন। ফলে বিদেশের ভক্তরাও জগন্নাথ দেবকে পাচ্ছেন। পাশাপাশি কাজের নিরিখে রোজগারও চলছে। ৮ ইঞ্চি মহাপ্রভুর বিগ্রহের দাম ৯ হাজার টাকা। সব থেকে বড় ৪৮ ইঞ্চির বিগ্রহের দাম ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা। বাপ্পা দাসের মহাপ্রভুর মূর্তির বৈশিষ্ট্য হল সম্পূর্ণ নিম কাঠের কোনওরকম জয়েন্ট ছাড়া তৈরি। বিগ্রহে পেরেক ব্যবহার করা হয় না। নিমকাঠ আনা হয় এ রাজ্যের বিভিন্ন কাঠমিল থেকেই।
কৌশিক অধিকারী





