Birbhum News: রাস্তায় শুধুই টোটোর ভিড়, ছোটবেলার সেই রিকশা চালকদের কথা মনে আছে? তাদের অবস্থা এখন কেমন?
- Reported by:Souvik Roy
- hyperlocal
- Published by:Ankita Tripathi
Last Updated:
তাঁদের খবর কেউ রাখেন না, এখন কেমন আছেন সেই পরিচিত রিক্সার চালকেরা
<strong>বীরভূম, সৌভিক রায়:</strong> আজ থেকে কয়েক বছর পিছিয়ে গেলে সব জায়গায় সেই ভাবে টোটোর উপদ্রব ছিল না। অনেকেই জানতেন না আসলে টোটো কী জিনিস। তবে বর্তমানে খুব কম টাকাতে খুব সহজেই নিজের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে এই টোটো। টোটো একদিকে যেমন নিত্যযাত্রীদের খুব কম সময়ে নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছেন ঠিক তেমনি এই টোটোর জন্য নিত্যদিনের যানজটের সমস্যায় পড়ছেন অনেকে। দিন দিন এই নিয়ে ঝুড়ি ঝুড়ি অভিযোগ জমা পড়ছে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে। ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
তবে এটা তো গেল টোটোর কথা, কিন্তু আজ থেকে কয়েক বছর আগে যেটা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল সেই রিক্সাওয়ালারা তাদের কথা কতজনেই বা মনে রেখেছে! কার্যত বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে শরীর। বর্তমানে বাতাসে হালকা ঠান্ডা হাওয়া বইছে তবুও গা দিয়ে ঘাম ঝরছে। আর এই সময় শহরের প্রধান মাছ বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রিক্সার ওপরেই ভরসা করতে হয় সাধারণ মানুষজনদের। কারণ টোটো সেই সব অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে না। ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
তবে একটা তো গেল যারা স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছেন তাদের কাছে রিক্সার প্রাধান্য। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনেকেই সামনে রিক্সা দেখেও না দেখার ভান করে বেরিয়ে যান। বারংবার রিক্সাওয়ালারা করুন আবেদন করেন কোথায় যাবেন? সেই আবেদন উপেক্ষা করেই টোটো ধরার উদ্দেশ্যে বা অন্য কোনও গাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান অনেকেই। তবে সেই নিরাশার মাঝে আশা নিয়েও পেশির টান নিয়ে পেশার তাগিদে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন অনেক রিক্সার চালক। ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
রিক্সা চালকদের বক্তব্য সকালে এক-দুশো টাকা আয় করে ফের ভাড়া পাওয়ার জন্য রেল স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। রামপুরহাটের এমনই এক রিকশাচালক কল্যাণ মাল জানান "যাত্রীর অপেক্ষায় সকাল গড়িয়ে দুপুর গড়িয়ে যায়। তার মধ্যেই গুটিকয়েক যাত্রী পেয়ে দু'তিনবার শহর ঘুরে আবার বাড়ি ফিরতে হয় সকলকে। কেউ কেউ আবার রাতের দিকে স্টেশনে নামা গভীর রাতে ট্রেনের যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দেন। সেখানেও সীমিত যাত্রী ভাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।" ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
টোটো, অটো-সহ উন্নত প্রযুক্তির যুগে বর্তমানে রিকশাচালকদের অস্তিত্ব যখন সঙ্কটে তখন গুটিকয়েক রিকশাচালক এখনও তাঁদের পরিবারের পেট ভরানোর তাগিদে এখনও রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই সমস্ত রিকশা চালকেরা এখনও শহরের গতিময় জীবনের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি। একাধিক রিক্সার চালকেরা জানাচ্ছেন রামপুরহাট-সহ জেলার বিভিন্ন শহরে দশ-কুড়ি বছর আগেও পাড়ার মোড়ে মোড়ে রিকশা স্ট্যান্ড ছিল। ওই সমস্ত স্ট্যান্ডে রিকশা চালকেরা তাঁদের ভাড়া পেতেন। বছরের একটি দিনে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ওই সমস্ত মোড়ে রিকশা চালকেরা পুজো করতেন, নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতেন। এখন আর সেই আনন্দ হয় না বলেও জানা গেছে।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়








