এখানে দেবী জগদ্ধাত্রী পূজিতা হন শাক্ত মতে। একচালার মাতৃমূর্তির দুই পাশে অবস্থান করেন দেবীর দুই সখী, জয়া ও বিজয়া। মায়ের পাদপ্রান্তে থাকেন ঋষি মার্কণ্ডেয় ও দেবর্ষি নারদ। সিংহবাহিনী এই দেবী জগদ্ধাত্রী এখানে চতুর্ভুজা রূপে পূজিতা হন।
আরও পড়ুন: চন্দননগর, কৃষ্ণনগর নয়! বর্ধমানেও জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজো, ২৬ ফুটের প্রতিমা ঘিরে আনন্দের শেষ নেই
advertisement
এই পুজোর অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হল দেবীর প্রসাদ রান্নার অভিনব পদ্ধতি। এখানে ২২টি হাঁড়িতে ২২টি পৃথক গোলাকার উনুনে একযোগে প্রসাদ রান্না করা হয়, যা এক অপূর্ব ও বিরল আচার। এই বিশেষ আয়োজন শুধু পুরুলিয়ার শিয়ালডাঙ্গা গ্রাম নয়, আশেপাশের গ্রাম, এমনকি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও অসংখ্য ভক্ত ও দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আচার্য্য পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বামাপদ আচার্য্য, উজ্জ্বল আচার্য্য জানান, “এখনও অতীতের সমস্ত নিয়ম মেনেই মায়ের পুজো হয়ে আসছে। আমাদের পুজোর আরও একটি বিশেষ দিক হল, একাদশীতেও মা পুজো পান এখানে।” যদিও এই পুজো মূলত আচার্য্য পরিবারের পারিবারিক উৎসব, তবু পুজোর পাঁচ দিনে সমগ্র শিয়ালডাঙ্গা গ্রাম যেন উৎসবে মেতে ওঠে। প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের আগমন ঘটে, গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দ, ভক্তি ও মিলনমেলার আবহ।





