পুজো উপলক্ষে কাগ্রামের পাশাপাশি আরও আট-দশটি গ্রামের বাসিন্দারা এই পুজো নিয়ে মেতে থাকেন প্রায় দু’দিন ধরে। আজও গোটা গ্রামে বসে মেলা। সারা রাত জুুড়ে হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কাগ্রাম একটি প্রাচীন গ্রাম। ২৯ পাড়ার এই গ্রামে বর্তমানে মোট ২৭ টি পুজো হয়। যার চল্লিশ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই গ্রামে। বর্তমানে ১৩টি হয় পারিবারিক পুজো। বাকিগুলি সব বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে এখানে চারদিন ধরে পুজো হয়না, পুজো চলে মাত্র দু দিন।
advertisement
আরও পড়ুন : একসপ্তাহে হাতির হানায় বলি চার! আবার প্রাণ গেল এক মহিলার, মাদারিহাটে যা হচ্ছে জানলে ভয়ে গলা শুকিয়ে যাবে
পঞ্জিকা মতে একই দিনে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পুজো হয় একদিনে। পরের দিন দশমী। বৃহস্পতিবার তিনটি পুজো ও শুক্রবার হবে দশমী তিথির পুজো। গ্রামে পুজোকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। প্রায় ৫০০ শতাধিক পুলিশ কর্মী মোতায়েন আছেন। ঠিক তেমনই সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই গ্রামে পুরাতন রীতিনীতি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তেমনই, পাল বাড়ি, মহাশয়বাড়ি সহ দক্ষিণপাড়া সাহাপাড়া মন্ডপ, মধ্যে পশ্চিম পাড়া সার্বজনীন, তাঁতি পাড়া সার্বজনীন, রায়পাড়া সার্বজনীন, উত্তরপাড়া বাজার পাড়া সার্বজনীন পুজোয় বলি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের দাবি রাখে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের বেশিরভাগ পুজো দুই শতাধিক বছরের বেশি পুরাতন। সাক্ত এবং বৈষ্ণব দুই মতেই এই গ্রামের পুজো গুলি হয়। আসপাশের গ্রামগুলি থেকে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেন এই গ্রামে। এখনও পুজোর সময় দু’দিন গ্রামে বসে মেলা। অনুষ্ঠিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যাত্রাপালা, নাটক ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গ্রামের বাসিন্দারা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দর্শনার্থীরা দুর্গাপুজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন।






