বাংলা তথা ভারতবর্ষের উজ্জ্বল নক্ষত্র ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ইংরেজির ১৮২০ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তির আন্দোলনে তার অবদান অনস্বীকার্য। বিধবা বিবাহের প্রচলন থেকে বাংলায় গদ্য সাহিত্যের বিকাশ তাঁর হাত ধরেই। সর্বোপরি সর্বশ্রেষ্ঠ বর্ণপরিচয় তাঁর সৃষ্টি। তিনিই শিক্ষাপদ্ধতির আধুনিকীকরণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন।তিনি বাংলা গদ্যের উন্নতি সাধন করেন এবং সংস্কৃত ও অন্যান্য ভাষা থেকে বহু মূল্যবান গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : চোখে জল আনবে এই থিম, শত্রুদের বুঝিয়ে দেবে দেশের পরাক্রম! মাতৃ বন্দনায় ‘সিঁদুরের’ শক্তি দেখাবে এই পুজো কমিটি
তিনিই মেয়েদের জন্য শিক্ষা তুলে দিয়ে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে অজ্ঞতা ঘুচিয়ে দেওয়ার লড়াই শুরু করেন। আজ তাঁর জন্যই মেয়েরা শিক্ষিত হয়ে সমাজে এগিয়ে চলেছে। বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ গ্রাম, বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল হলের জন্য পরিচিত। যা বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির নামেও পরিচিত। যেখানে তার কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং তার বইয়ের মূল কপি সংরক্ষিত আছে। বীরসিংহ ভগবতী প্রাথমিক বিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। যা বিদ্যাসাগর ১৮৫২ সালে বীরসিংহ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিদ্যালয়টি এখনও চলছে এবং বিদ্যাসাগরের শিক্ষামূলক দর্শন অনুসরণ করে। মেদিনীপুরবাসীর কাছে বিদ্যাসাগর একটা আবেগের নাম। তাই প্রবেশদ্বার নতুন ভাবে সজ্জিত হওয়ার কারণে খুশি প্রত্যেকেই। সবশেষে বলা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এবং বিশেষ করে বীরসিংহ গ্রাম বাংলা সাহিত্য ও সমাজ সংস্কার আন্দোলনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। যারা অলিগলিতে ছড়িয়ে রয়েছে বিদ্যাসাগরের কীর