এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় মায়াপুর মন্দির প্রাঙ্গনে। এ প্রসঙ্গে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ জানান, সরকারি সব নিয়মকানুন মেনে প্রায় ২০ বছর ধরে লক্ষ্মীপ্রিয়া ও বিষ্ণুপ্রিয়া নামের দুটি হাতিকে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে পোষা হচ্ছে। এদের মধ্যে একটি হাতির বয়স আনুমানিক ২৭ ও অপরটির ৩০ বছর।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনে চাদর দেওয়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, রেলের সিদ্ধান্তে লাখো যাত্রীর চিন্তা কমতে চলেছে এবার!
প্রতিবছর নিয়ম মেনে রাস পূর্ণিমা থেকে দোল পূর্ণিমা পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেলে মন্দির প্রাঙ্গনে বিগ্রহ নিয়ে হাতির পরিক্রমা করা হয়। যা দেখতে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দদের সমাগম ঘটে ইসকন মন্দির প্রাঙ্গনে। এ ছাড়াও প্রতিদিন দুবেলা মাহুতরা হাতিদের মন্দির চত্বর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে নিয়ে যায়। অসম থেকে এসে মাহুতদের চারটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এখানে থেকে পালা করে হাতি গুলির দেখভাল করে। এর আগে মন্দিরে গোলাপ কলি নামের একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি ছিল। ২০০০ সালের বন্যার সময় বয়সজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে সেটি মারা যায়। পরে অসম থেকে এই হাতি দুটিকে ইসকন মন্দিরে নিয়ে আসা হয়েছিল।
এছাড়াও তিনি বলেন, এদিন সন্ধ্যাতেও একই ভাবে হাতিশালা থেকে মাহুতরা হাতি দুটিকে ঘোরাতে নিয়ে গিয়েছিল। পরে হাতিশালায় ফিরে গিয়ে ছোট হাতিটি অজ্ঞাত কারণবশত হঠাৎ করে সমুদ্র রাভা নামের ওই মাহুতকে আক্রমণ করে বসে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন অপর একজন মাহুত। তৎক্ষণাৎ তাদেরকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য মায়াপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সমুদ্র রাভাকে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাতিশালাটি সংরক্ষিত হওয়ার কারণে মূল মন্দির থেকে বেশ কিছুটা দূরে ও লোকালয়ের বাইরে অবস্থিত। যার কারণে দুর্ঘটনার কথা প্রথমে আমরা কেউই জানতে পারিনি। পরে ঘটনাটি জানতে পেরে মন্দিরের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জখম মাহুতকে চিকিৎসার জন্য কল্যাণী এমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর আঘাত গুরুতর না হলেও বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপরদিকে রবিবার সকালে মৃত মাহুদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কিভাবে মৃত্যু হল ওই মাহুতের তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
—– Mainak Debnath