বিতর্কের একদিকে হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে যুযুধান বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা দুজনেই নিজেদের বিদ্যাসাগরের বংশধর বলে দাবি করেন। বীরসিংহ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মঞ্চের তথ্য অনুসারে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরদের সাত সহোদরের মধ্যে ষষ্ঠ ঈশানচন্দ্রের দুই ছেলে ছিলেন। তাঁরা, পরেশ এবং কেদার। পরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার ছেলে হলেন প্রশান্ত, পরিমল, প্রণব এবং পার্থ। কেদার বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই ছেলে হলেন জগদীশ এবং মদন। এই মদন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেই হলেন বিতর্কের একপক্ষ, প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
এই তত্ত্বেই নিজেকে বিদ্যাসাগরের বংশধর বলে দাবি করেন তিনি। যা মেনেও নিয়েছে বীরসিংহ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মঞ্চ। কিন্তু বিতর্কের দ্বন্দ্ব এখানেই থামছে না। বংশলতিকার আর এক শাখা বলছে, বিদ্যাসাগরের মেজো মেয়ে কুমুদিনী দেবীর নাতি হলেন শেখরনাথ চট্টোপাধ্যায়। এই শেখরনাথ সম্পর্কে অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেঠু হন। অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা শেখরনাথের পিসতুতো দাদা হন।
কিন্তু বীরসিংহ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মঞ্চের দাবি, বিদ্যাসাগরের একমাত্র ছেলে ছিলেন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পাঁচ সন্তানের মধ্যে ২ জন ছেলে এবং ৩ জন মেয়ে। তাঁদের মধ্যে একজন ছেলে মাত্র ৮ বছর বয়সে মারা যান। আর এক ছেলে, অর্থাৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ওই পৌত্র বিয়ে করেননি৷ ফলত পুত্র ও পৌত্রের দিক দিয়ে বিদ্যাসাগরের কোনও প্রত্যক্ষ বংশধর নেই বলে বক্তব্য বীরসিংহ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মঞ্চের৷
আরও পড়ুন : রক্তাল্পতার শিকার রাজ্যের ৬০ শতাংশেরও বেশি শিশু, বলছে নবান্নের রিপোর্ট
১৮৯১ সালে ৭০ বছর বয়সে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃত্যু হয়। তাঁর প্রয়াণের ১৩২ বছর পরে তরজা নবজাগরণের পুরোধার পারিবারিক উত্তরসূরিকে নিয়ে৷