দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন সন্তু। বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুলে বরাবর তিনি প্রথম হয়েছেন। স্কুল পেরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্কে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। আইআইটির ডাক উপেক্ষা করে যাদবপুর থেকেই পিএইচডি করেছেন। বলা বাহুল্য, এরআগে ২০২৩ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছয় অধ্যাপক ও গবেষক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। এরপর ফের বাংলার অধ্যাপক পেলেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আর তাতেই বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল হল বাংলার নাম।
advertisement
এত কম বয়সে গোটা ভারতেই এমন স্বীকৃতি খুব কম মানুষই পেয়েছেন। ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষক জানান.”সন্তু পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিল। ও গরিব বাড়ির সন্তান। বাবা-মায়ের নিরলস প্রয়াসেই সন্তুর এই সাফল্য। অনেকগুলি IIT-তেই PHD-র জন্য ও সুযোগ পেয়েছিল। কোনওটায় না গিয়ে যাদবপুরকেই বেছে নিয়েছিল। বাংলা ছেড়ে ও যেতে চায়নি। ওর এই স্বীকৃতি বাংলার মানুষের কাছে গর্বের।”
আরও পড়ুনঃ Murshidabad News: হাতে মাইক্রোফোন! বাউল গেয়ে কাঁপিয়ে দিলেন এই পুলিশকর্মী! ভাইরাল ভিডিও
সন্তুর সাফল্যে খুশি বাবা, মা, দাদা থেকে শুরু করে ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষকও। সকলেরই আশা আন্তর্জাতিক স্তরে আরও সাফল্য পাবে সন্তু। দারুণ এই সাফল্য পেয়ে স্বভাবতই খুশি সন্তু নিজেও। তিনি বলেন,”এই স্বীকৃতি পাব ভাবিনি। আগামী দিনে আমার গবেষণাকে আরও অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
সুমন সাহা