করোনার সময় সংসার চালাতে বসতে হত পানের দোকানে। সেই পানওয়ালা থেকে গানওয়ালা হয়ে ওঠার কাহিনী চমকে দেবে আপনাকে। প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকা থেকে অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের, মিষ্টিভাষী এই যুবকের চড়াই উৎরাই পথ পেরিয়ে খড়গপুর থেকে মুম্বই পৌঁছানোর লড়াই অবাক করবে। এখনও ছেলের কথা, ছেলের প্রতিদিনের দিন যাপনের কথা ভেবে চোখে জল আসে বাবা-মায়ের।
advertisement
আরও পড়ুন- 45000 ফুট উচ্চতায় ‘কাজ’ সেরে সিটে ‘শান্ত’ হয়ে বসেছিল! বিমানবন্দরে নামতেই…
খড়গপুর থেকে সুদূর মুম্বাই, একের পর এক গান গেয়ে রিয়েলিটি শো এর মঞ্চে দর্শক থেকে বিচারকদের মন কেড়ে নিয়েছে খড়্গপুরের শুভজিৎ। শ্রেয়া ঘোষাল থেকে বাদশা তার গানের প্রশংসা করেছেন বারবার। বাংলার ফোক গান এর সঙ্গে হিন্দি গানের সংমিশ্রণ সারা দেশের কাছে এক নজির সৃষ্টি করেছে। পশ্চিমবঙ্গের এক রিয়েলিটি শো’তে তার গানের গলা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এবার সুদূর মুম্বাইতে দেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের মন জয় করেছে খড়্গপুরের চাঙ্গুয়াল এলাকার বাসিন্দা শুভজিৎ চক্রবর্তী।
ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছে গানের শিক্ষা। ছোট থেকেই গানের প্রতি ভালোবাসা শুভজিতের। শুভজিতের বাবা এবং মা যাত্রা দলে ছিলেন। পরে বাউল দলেও গান করেছে শুভজিৎ। যখন ছোট্ট বয়সে গানের স্বরলিপি বুঝে ওঠার ক্ষমতা ছিল না, তখন থেকেই গুনগুনিয়ে গান গাইতসে। তখন থেকেই গানের প্রতি ভালোবাসা থাকায় শুভজিতের বাবা শিখিয়েছেন গানের কলি। শুধু শুভজিৎ নয়, তার বাবা এবং মায়ের গানের গলা মুগ্ধ করবে আপনাদেরও। একটা ভাঙা হারমোনিয়াম নিয়ে এখনও রেওয়াজ করতে বসেন সকলে। বাড়িতে শুভজিৎ এলে সেই হারমোনিয়ামেই প্র্যাকটিস করে।
তবে সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি রিয়েলিটি শো এর মঞ্চে গান গেয়ে বেশ নামডাক কুড়িয়েছে সে। বাড়ির পাশে করোনার সময় খোলা পানের গুমটিতে বসে পান বিক্রির পাশাপাশি গান শোনাতসকলকে। শুভজিৎ বাড়িতে না থাকায় এখন দোকান খোলেন না তার বাবা। বিভিন্ন জায়গায় গান শিখিয়ে শুভজিতের বাবা সংসার চালান। ছেলের সফলতার কথা ভেবে চোখে জল আসে বাবা-মায়ের।তবে সকলেই চায় তাদের ছেলে আরও নামডাক করুক, উজ্জ্বল করুক মেদিনীপুরের নাম।
রঞ্জন চন্দ