45000 ফুট উচ্চতায় 'শিহরন'! 'কাজ' সেরে শান্ত হয়ে সিটে বসেছিল সে...বিমানবন্দরে নামতেই গ্রেফতার!

৪৫ হাজার ফুট উচ্চতা। চেয়েছিল এই যাত্রী। সব সেরে শান্ত ভাবে সিটে এসে বলেছিল সে। তার পরেও শেষ রক্ষা হল না। কী ভাবে যেন জানাজানি হয়ে গেল! কী করেছিল এই যাত্রী? শুনলে চমকে যাবেন।

ইন্দোর থেকে দিল্লি যাচ্ছিল সেই ফ্লাইট। ৪৫,০০০ ফুট উচ্চতায় কীর্তিটি করার পরে, এই ব্যক্তি এসে খুব শান্তভাবে নিজের আসনে বসেছিল। ভেবেছিল কেউ তার সাংঘাতিক কুকীর্তির কথা জানতে পারেনি। কিন্তু সে জানত না যে এমন কেউ আছে যে ফ্লাইটে ওঠার আগেই তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছিল। এই ফ্লাইটটি দিল্লিতে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই এই ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

হেফাজতে নেওয়ার পর এই যাত্রীকে এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কক্ষে নিয়ে আসা হয়। তল্লাশি চলে। তার পরই বেরিয়ে পড়ে টেপে মোড়ানো ১৩টি সোনার বিস্কুট!

সোনার বিস্কুটগুলিকে টেপ দিয়ে মোড়ানোর পর একটি মোটা সুতোও বেঁধে দেওয়া হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের মোট ওজন প্রায় ৯৯৯ গ্রাম! একই সময়ে, উদ্ধার করা সোনার মূল্য প্রায় ৭৩ লক্ষ টাকা বলে অনুমান।

তদন্তে আরও জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া সোনা আসলে বিদেশি। বিদেশ থেকে ভারতে আনা হয় এবং পরে অভ্যন্তরীণ রুটে (domestic route) নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছিল সেগুলিকে।

আসলে চোরাকারবারীরা ভাল করেই জানে যে, বিদেশ থেকে আসার পর প্রতিটি বিমানই অভ্যন্তরীণ খাতে যাতায়াত করে। তাই তারা বিমানে বিদেশ থেকে আনা সোনা লুকিয়ে রাখে।

এরপর বিমানটি domestic route-এ আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিমান থেকে সোনা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চোরাকারবারিরা। তেমনই করেছিল এই যাত্রীও। প্রচেষ্টায় সফল হওয়ার আগেই কাস্টমসের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে। কাস্টমস অফিসারের মতে, সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ইন্দোর থেকে দিল্লি আসছিল।