আরও পড়ুন: মালদহ, মুর্শিদাবাদের ভাঙ্গন রুখতে রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু, অর্থ দেবে কে? কেন্দ্রের সাহায্য?
গ্রামীণ এলাকার গৃহপালিত পশুদের মধ্যে অন্যতম গরু। গরুর বর্জ্য গোবর থেকে গ্যাস উৎপন্ন করে বাড়ি বাড়ি রান্নার জন্য সরবরাহ করা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক ব্লক কেশিয়াড়িতে এই বায়োগ্যাস উৎপাদন ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। প্ল্যান্ট করে বায়ো গ্যাস উৎপন্ন করে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে। ইতিমধ্যেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে এই গ্যাস লাইন। দেওয়া হয়েছে চুল্লিও। মনে করা হচ্ছে সারাদিনের দুবার এই গ্যাস পরিষেবা দেওয়া হবে। যার ফলে একদিকে যেমন জ্বালানির খরচ অনেকটা বাজবে তেমনই চড়া দামে কিনতে হবে না রান্নার গ্যাস। স্বাভাবিকভাবে গ্রামীণ এলাকায় বেশ উপকারই হবে সকলের।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে অঘটন! ডুয়ার্সে হড়পা বানের তাণ্ডব, পাহাড়ি নদীতে তলিয়ে গেল আস্ত ট্রাক্টর!
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের লেঙ্গামারা এলাকায় এই বায়ো গ্যাস উৎপাদনের প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে চলতি মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হবে এই প্রকল্প। ইতিমধ্যেই সমস্ত পর্যবেক্ষণ শেষ, শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। গোবরকে পচিয়ে তাকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হবে এই বায়োগ্যাস। গ্রামীন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হবে গোবর। যা সেই প্ল্যান্টের মধ্য দিয়ে গ্যাস উৎপন্ন করা হবে।
আর সেই গ্যাস পৌঁছে যাবে বাড়িতে বাড়িতে। প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে। পরবর্তীতে একাধিক জায়গায় প্ল্যান্ট করে জঙ্গলমহলের একাধিক গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন।
স্বাভাবিকভাবে এই প্রকল্পে খুশি এলাকার মানুষ। শুধু তাই নয়, গ্রামীণ এলাকার মানুষদের যে বেশ উপকারে লাগবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।





