হিলি বিপ্লবী সংঘের পুজো মানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই মণ্ডপে নিরাপত্তাকে ঘিরে প্রতিবছরই বিশেষ ব্যবস্থা নেয় বিএসএফ ও জেলা পুলিশ। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বেশ কয়েক বছর আগেও ওপার বাংলা থেকে বহু মানুষ এই পুজো দেখতে ভিড় জমাতেন ভারতের এই বিপ্লবী সংঘে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৪৫০ বছরের এক করুণ ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে ব্যবত্তাবাটির বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোয়! শুনলে চোখে জল আসবে
ইন্দোনেশিয়ার একটি বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হিলি বিপ্লবী সংঘে
তবে দেশের হাসিনা সরকারের পতনের পর সমস্ত বাংলাদেশ জুড়েই যে অস্থিরতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে ওপার বাংলার দর্শনার্থীরা এবার আসবে না বললেই চলে। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু দর্শনার্থী ভিড় জমান এই পুজো মণ্ডপে।
ইন্দোনেশিয়ার একটি বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হিলি বিপ্লবী সংঘে
ইন্দোনেশিয়ার এই মণ্ডপের ভিতরের দেওয়ালে ও বাইরের দেওয়ালে যে সমস্ত মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে তা কাঠের গুঁড়ো ও আঠা দিয়ে তৈরি। বৃষ্টির জন্য মণ্ডপ নির্মাণের কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেলেও মহালয়ার আগেই কাজ শেষ করার চেষ্টায় রয়েছে মণ্ডপ সজ্জায় নিয়োজিত শ্রমিকরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই আনুষ্ঠানিকভাবে পুজোর উদ্বোধন হবে পঞ্চমীর সন্ধ্যায়। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার আগে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টায় আছেন শিল্পীরা। আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া হিলি বিপ্লবী সংঘের পুজোতে প্রতিবছরই অভিনবত্বের ছোঁয়া থাকে। এইবারও রঙ বেরঙের আলোর ঝলকানিতে মানুষের মন জয় করা এক থিম নিয়ে আসতে চলেছে এই ক্লাব।