হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের মসাগ্রাম জংশন রেল স্টেশনে। গত নভেম্বরে সমস্ত কাজ শেষ হয়েছে। এই রুটে ট্রেন চালুর জন্য প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তাঁর ফেসবুক পেজে এই নতুন রুটে প্রস্তাবিত ট্রেন সময়সূচি শেয়ার করেছেন। যদিও পরিষেবা শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট দিন এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবু দুটি সম্ভাব্য সময়সূচি সামনে আসায় যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ। যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ হবে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
বাঁকুড়া দামোদর রিভার রেলওয়ে পরিবহণ ওয়েলফেয়ার সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুপ্রকাশ সামন্ত বলেন, প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী সকালে হাওড়া যাওয়ার জন্য আমাদের সুবিধা হবে, কিন্তু বিকেলে কোনও ট্রেন নেই। আমরা সাংসদকে জানিয়েছিলাম উনি আবার একটা প্রপোজাল রেল মন্ত্রীকে দিয়েছেন। এবার দেখা যাক কী হয়, কারণ একটা ট্রেন নিয়ে আমাদের চলবে না।
পয়লা বৈশাখে লাইন চালু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে এই সময়সূচির জন্য হয়ত সময় লাগছে কিন্তু কাজ মোটামুটি শেষের দিকেই। এই নতুন রুটে ট্রেন চালু হলে হাওড়া থেকে বাঁকুড়া পৌঁছতে সময় অনেকটাই কমবে। এতদিন বহু সাধারণ মানুষের জন্য এই যাত্রাপথ ছিল অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর। দক্ষিণ দামোদর অঞ্চল-সহ ইন্দাস, পাত্রসায়রের বাসিন্দারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। এতদিন বর্ধমান কিংবা দুর্গাপুর থেকে ট্রেন ধরতে হত, কিন্তু এবার তাঁরা সরাসরি কলকাতার সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবেন।
নতুন এই রেল পরিষেবা শুধু যাত্রীদের যাতায়াতেই সুবিধা দেবে না, বরং এলাকার শিক্ষা, ব্যবসা ও পর্যটন ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। এখন সকলের অপেক্ষা, কবে এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। তবে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তাঁর ফেসবুক পেজে এই নতুন রুটে প্রস্তাবিত ট্রেন সময়সূচি শেয়ার করার পর অনেকেই সময়সূচি পরিবর্তন করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতো সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পুনরায় রেল প্রতিমন্ত্রী রাভনীত সিং বিট্টুর সঙ্গে দেখা করেন এবং সময়সূচি পরিবর্তনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





