বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, “নতুন বছরে বাঁকুড়া জেলার জন্য একের পর এক সুখবর! আজ আবারও বিষ্ণুপুর লোকসভা তথা বাঁকুড়া জেলার রেল মানচিত্রের নতুন রেলপথ সংযোজনের উদ্দেশ্যে দেশের মাননীয় রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি-র সঙ্গে সাক্ষাৎকার করি। এই সাক্ষাৎকার পর্বে বেলিয়াতোড় হতে দুর্গাপুর পর্যন্ত আমার তথা আমার বাঁকুড়াবাসীর যে স্বপ্নের রেলপথ সেই রেলপথ নিয়ে মাননীয় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় এবং আলোচনা শেষে মাননীয় রেলমন্ত্রী আমায় কথা দেন আমাদের বাঁকুড়া জেলায় এই নতুন রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে। ২০১৪ সালে যখন আমি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হইনি সেই সময়ে শুধুমাত্র একটি রেলপথ ছিল যা খড়গপুর-আদ্রা। কিন্তু আজ বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটী হয়ে তারকেশ্বর হয়ে হাওড়া নতুন রেলপথ, বাঁকুড়া থেকে ভায়া মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া। আর আজকের এই সদর্থক বৈঠকের পরে বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুর ভায়া বেলিয়াতোড় নতুন রেলপথ! আমরা যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জনগণের আশীর্বাদ নিয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করছি তাদের লক্ষ্য যদি উন্নয়ন হয় তবে তা যে পূরণ করা সম্ভব একের পর এক কাজ তারই প্রমাণ রাখে।’
advertisement
আরও পড়ুন: পিঠ থেকে বেরিয়েছে ৩ ইঞ্চি লম্বা ছুরি, আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচার ‘ছোটে নবাব’-এর! তারপর?
তিনি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহেই বিষ্ণুপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে, আর আগামী ১৭ জানুয়ারি এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের চূড়ান্ত সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হবে। গোটা বিষ্ণুপুর লোকসভা তথা বাঁকুড়া জেলাজুড়ে, যে উন্নয়নের কর্মকাণ্ড চলছে, যেই কর্মকাণ্ডে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং রেলমন্ত্রী মাননীয় শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি যেভাবে আমার এবং আমার লোকসভার জনগণের প্রতি উদার মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তা আমাকে আরও নতুন করে উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত করতে উদ্বুদ্ধ করে। তাই আমি আশা রাখব রাজনীতি হোক তবে রাজনীতি হোক নিজের এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে, রাজনীতি হোক রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে, রাজনীতি হোক দেশের উন্নয়নের স্বার্থে।”
এই লাইন তৈরি হলে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সংযোগ যেমন বাড়বে তেমনই জঙ্গলমহলের জেলাগুলোর মানুষের যাতায়াত আরও দ্রুত ও মসৃণ হবে।
আবীর ঘোষাল