ইতিমধ্যেই আন্ডারপাস নির্মাণের ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে রেল। তমলুকের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই আন্ডারপাস নির্মাণ হবে। অবশেষে পূরণ হতে চলেছে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি। তৈরি হবে আন্ডারপাস রাস্তা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে।
advertisement
নারায়ণপুর-কাপাসবেড়িয়া এলাকার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে রেল লাইন। বহু বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল, এই জায়গায় আন্ডারপাস হোক। তাম্রলিপ্ত পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসবেড়িয়া এলাকায় তমলুক-নন্দকুমার রেল লাইন অতিক্রম করে নারায়ণপুর ও গণপতিনগরকে যুক্ত করেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী রাস্তা। এতদিন পর্যন্ত এখানে রেলগেট, আন্ডারপাস কিছুই ছিল না। ফলে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটত, প্রাণও হারিয়েছেন বহু মানুষ। বছরের পর বছর দাবি জানিয়েও মেলেনি স্থায়ী সমাধান। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ভারতীয় রেল এই জায়গায় আন্ডারপাস নির্মাণের উদ্যোগ নিল।
এই বিষয়ে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শবরী চক্রবর্তী জানান, নির্বাচনের সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা অনেক দৌড়ঝাঁপের পর অবশেষে পূরণ হতে চলেছে। এক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হবেন। জাতীয় সড়কের কিছুটা দূরে এই রেলের এই আন্ডারপাস নির্মাণ বরাদ্দ হওয়ায় এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তমলুকের সঙ্গে ঘুরপথে আর যোগাযোগ করতে হবে না। এই রাস্তা দিয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা ও যেকোনও কাজে যাতায়াত দ্রুত ও সহজ হবে। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ হয় প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই আন্ডারপাস তৈরি হলে বহু বছরের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে। এই রাস্তা দিয়ে শুধু কাপাসবেড়িয়া নয়, আশেপাশের অনেক এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। বিগত কয়েক বছরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্ডারপাস হলে বড় সুবিধা হবে। অন্যদিকে আরও এক স্থানীয় বলেন, ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ পথচারী, সবাই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার হন। রোগী নিয়ে যাওয়ার সময়ও অনেক ঘুরপথে যেতে হয়। আন্ডারপাস হলে অনেকের জীবন রক্ষা পাবে।





