পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পরে খুঁজে না পাওয়ায় পরদিন সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরই মধ্যে নাবালিকার বাড়িতে হোয়াটসঅ্যাপে ছবি এবং ভিডিও কল আসে। সেখানে দেখা যায় হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় আছে নাবালিকা এবং টাকা দাবি করা হয় মুক্তিপণ হিসেবে। এরপরে পরিবারের লোকজন ভয় পেয়ে কিছু টাকাও পাঠিয়ে দেয়। এরপরে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত শুরু করে। তদন্তে উঠে আসে এক অন্যরকম ঘটনা। দেখা যায় মেয়েটি নিজেই অপহরণের গল্প সাজিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: জলে ভাসছে সিভিক পুলিশ বিশ্বজিতের দেহ! কীভাবে মৃ*ত্যু? ঘনাচ্ছে রহস্য
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির ১৯ তারিখ শনিবার একটি পরীক্ষার ফলাফলের কথা ছিল সেই দিন ভয় পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে বাসে উঠে চিত্তরঞ্জন যায়। এরপরে আসানসোল স্টেশনে চলে আসে। ট্রেনে করে সেখান থেকে যায় দুর্গাপুর। ফের ফিরে আসে আসানসোলে। এবার আসানসোল স্টেশনে গুজরাতের ট্রেন পেয়ে চেপে পড়ে। বিহারের পরে থেকে কিছু লোকজন উঠে যারা মহারাষ্ট্র গুজরাতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে।
তাদের সঙ্গে আলাপ হয় নাবালিকার, সেখানে সে বলে যে সে অনাথ, তার কেউ নেই। টিকিট কাটতে পারেনি। মেয়েটি তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে যেতে অনুরোধ করে। তাঁদের একজনের সঙ্গে সে চলে যায় নাসিক। সেখানে দুই দিন থাকার পর তার বাড়ির কথা মনে আসে। এর পরে নিজের মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে ছবি ভিডিও কল করে। হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় সে নিজেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখায়। টাকা দাবি করে। তার বাড়ির লোকজন কিছু টাকাও পাঠিয়ে দেয়।
পরিবারের লোকজন বিষয়টি নিয়ে সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে অপহরণের। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে। অবশেষে শনিবার সালানপুর থানার পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। রবিবার পৌঁছয় সালানপুর থানায়। এদিন নাবালিকাকে আদালতে তোলা হয়। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ ওয়েস্ট জানিয়েছেন, “নাবালিকার সেদিন পরীক্ষার একটি রেজাল্টের দিন ছিল, তাই নাবালিকাটি ভয় পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় এবং তদন্তের পরে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে”।
নাবালিকার পরিবারের লোকজন বলেন, দশম শ্রেণীর ছাত্রী সে। কথা ছিল সেইদিন একটা পরীক্ষার ফলাফল এর। সেই ফলাফল খারাপ হওয়ার ভয় পেয়ে বাড়ি থেকে চলে যায় সে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি তাকে। পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। পুলিশ অনেক সহযোগিতা করেছে।
রিন্টু পাঁজা