এই গরমে স্টেশনের মধ্যে রোদ লাগবে না সেটা না হয় বোঝা গেল। কিন্তু কী করে আশেপাশের থেকে এক ধাক্কায় ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে সেটা বিস্ময়ের বইকি। আসলে প্রবল গরমের হাত থেকে যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পূর্ব রেল হাওড়া, শিয়ালদহ সহ তাদের শাখার বেশ কিছু স্টেশনে অত্যাধুনিক পাখা লাগিয়েছে। লম্বা ব্লেডের এই হাই ভলিউম লো স্পিডের পাখাগুলোর জন্যই স্টেশন চত্বরে তাপমাত্রা পরিবেশের থেকে বেশ কিছুটা কম থাকছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মহিষাদলের ছাঁচে ঢালা ব্রোঞ্চ মূর্তির বাজার গড়ে উঠেছে ভিন রাজ্যে
এইচভিএলএস প্রযুক্তির এই বিশেষ ধরনের পাখা অত্যন্ত ধীরগতিতে চলে। কিন্তু আসল কাজটা দিব্যি করে দেয়। তাছাড়া এতে বিন্দুমাত্র শব্দ হয় না। স্টেশনের সৌন্দর্যায়নের সঙ্গেও এই বিশেষ প্রযুক্তির পাখা বেশ মানিয়ে গিয়েছে। প্রবল রোদ থেকে এসে এই পাখার জন্যই স্টেশন চত্বরে ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম তাপমাত্রায় শান্তি পাচ্ছেন যাত্রীরা।
১.২ কিলোওয়াটের মোটর ক্ষমতা-সহ এই এক একটি উচ্চ-কার্যকারিতার পাখাগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে কম শক্তি খরচ করে, যা ২০ টি পুরনো ঐতিহ্যবাহী পাখার সমতুল। বুঝতেই পারছেন এর ফলে বিদ্যুৎ খরচও অনেকটা কম হয়। হাওড়া ওল্ড স্টেশন কমপ্লেক্স এলাকায় ১২ টি এবং নিউ স্টেশন কমপ্লেক্স এলাকায় সাতটি এইচভিএলএস পাখা যাত্রীদের এই গরমে স্বস্তি দিচ্ছে। দুটি এইচভিএলএস পাখা তারকেশ্বর বুকিং অফিস এলাকায় এবং একটি বর্ধমান জংশন স্লিপার ক্লাস ওয়েটিং হলে চালু আছে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এই বছর হাওড়া ওল্ড স্টেশন কমপ্লেক্স এলাকায় আরও ১১ টি এইচভিএলএস পাখা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: লাল পিঁপড়ের ডিম ভাতের যোগান দিচ্ছে ওঁদের! আমলাশোলের অন্ধকার ঘুচিয়ে নতুন পথের দিশা
এই আধুনিক প্রযুক্তির পাখা প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ইচভিএলএস পাখাগুলি আমাদের যাত্রীদের জন্য একটি উচ্চতর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করছে৷ এই ফ্যানগুলি শুধুমাত্র গরম থেকে স্বস্তি দেয় না, তারা স্টেশন চত্ত্বরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও অবদান রেখেছে।
রাকেশ মাইতি