আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের দিন উদ্বোধন, মায়াপুর হোটেলে ৯৯ টাকায় ১২ রকম পদের থালি!
ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের জেনারেল পোস্টমাস্টার শশী শালিনী কুজুর ময়নাগড় রাজবাড়ির উপর এই পোস্টাল কভার প্রকাশ করেন। যার ফলে গোটা দেশের কাছে ময়নাগড়ের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।
দুই প্রশস্ত পরিখা দ্বারা বেষ্টিত ভূখণ্ড ময়নাগড়। হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী এই ময়নাগড়। ধর্মমঙ্গল খ্যাত লাউসেনের কাহিনী আজও এখানকার মানুষের মুখে মুখে ফেরে। গৌড় থেকে লাউসেন তাঁর রাজধানী এই ময়নায় স্থানান্তরিত করেছিলেন। হাজার বছর ধরে আজও পূজিত হয় রঙ্কিনী দেবী। ধর্মমঙ্গল কাহিনীকে বাদ দিলেও ময়নাগড়ের বয়স কিন্তু কম নয়। কলিঙ্গ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ‘জলৌতি দণ্ডপাট’-এর অধিকারী ছিল বাহুবলিন্দ্র রাজপরিবারের পূর্ব পুরুষেরা। এই পরিবারের রাজধানী ছিল বালিসিতা গড়। এই বালিসীতা গড় থেকেই ১৫৬১ সালে বাহুবলিন্দ্র রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ গোবর্ধননন্দ বাহুবলিন্দ্র প্রথম ময়নাগড়ে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ময়নাগড়কে স্বীকৃতি দিতেই ডাক বিভাগের এই পোস্টাল খাম ও স্ট্যাম্প প্রকাশ হয়। বিশেষ এই পোস্টাল খাম ও স্ট্যাম্পের উদ্বোধন করে পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের জেনারেল পোস্টমাস্টার শশী শালিনী কুজুর জানান, ‘ময়নাগড় রাজবাড়ির এক হাজার বছরের ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিতে এই বিশেষ উদ্যোগ। ময়না পোস্ট অফিস থেকে টানা এক বছর সমস্ত ধরনের কাজে এই স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হবে। ফলে ময়নাগড় রাজবাড়ির ইতিহাস, ঐতিহ্য বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে। মানুষ জানতে পারবে গড়ের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের কথা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ময়না গড় দুটি পরীখা দ্বারা বেষ্টিত। কালিদহ, মাকড়দহ দুই প্রশস্ত পরিখা আলাদা করে রেখেছে ময়নাগড়কে। শত্রুর আক্রমণ হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই দুটি প্রশস্ত পরিখা কাটা হয়েছিল। জনশ্রুতি আছে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একসময় এই পরিখাগুলিতে কুমীর ছাড়া থাকত। এছাড়াও পরিখা বেষ্টিত এই ভূখণ্ডের চারপাশে কাঁটা জাতীয় বাঁশের বন লাগানো হয়েছিল। ঘন কাঁটা জাতীয় বাঁশের জঙ্গল তির ভেদ করতে পারত না। গড়ের ভেতরে প্রবেশের একমাত্র উপায় নৌকো। বাহুবলিন্দ্র রাজপরিবারের কিছু সদস্য এখনও গড়ে বাস করেন। যাদের নিত্যপ্রয়োজনে নৌকো ঘাটে বাঁধা থাকে। ভারতীয় ডাক বিভাগের এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান রাজ পরিবারের সদস্যরা।
সৈকত শী