আরও পড়ুন: রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল মাথা! শহরের বুকে ভয় ধরানো দুর্ঘটনা
প্রতিভার জোরে অঞ্জনা নন্দী গিয়েছেন জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-তেও। মহিলা সানাই বাদক হিসেবে এখন সকলেই এক নামে চেনেন তাঁকে। কোনও এক অনুষ্ঠানে গিয়ে দাদাকে ইমন কল্যাণ রাগ বাজাতে বলেন তিনি। কিন্তু দাদা বাজাতে পারেননি। সমস্যায় পড়তেই বোন অঞ্জনা বলেছিলেন, দাদা তুই তো ইমন রাগ’টা জানিস, আমি কল্যাণ আহরোনটা বলে দিচ্ছি। কিন্তু সেই সময় বোনের এই পরামর্শ দাদা ভালভাবে নেয়নি এবং বোনকে অপমান করেন। এই ঘটনাই সানাই শেখার জেদ তৈরি করেছিল অঞ্জনার মধ্যে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এরপর গুরু ফকির আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুরু হয় তাঁর প্রশিক্ষণ পর্ব। এক বছর লেগেছিল সানাই-এর ফুঁ বের করতে। তারপর যা হয়েছে তা আজ সবার জানা। তিনবছর পর গুরুজির সঙ্গেই প্রথম মঞ্চে সানাই প্রদর্শন। আজ বহু জায়গায় মহিলা সানাই বাদক হিসাবে ডাক পান অঞ্জনা। যেখানেই যান সানাই বাজাতে, সেখানে যথেষ্ট সম্মানিত হন। সাধারণত পুরুষদের হাতে সানাই দেখে সকলে অভ্যস্ত। কিন্তু যখনই কোনও এক মহিলাকে সানাই বাজাতে দেখেন তখনই সকলে থমকে যান। এদিকে শুধু সানাই নয়, অঞ্জনাদেবী ঢাক’ও বাজান।
রুদ্রনারায়ণ রায়