বুধবার সকাল সাতটার সময় পূর্ণমের স্ত্রীকে বিএসএফের তরফ থেকে ফোন করে জানানো হয় তার স্বামীকে ছেড়ে দিয়েছে পাকিস্তান। তারপরেই সোজা ঠাকুরের কাছে গিয়ে প্রার্থনা করেন স্ত্রী। এই খবর বাড়িতে আসা মাত্রই বাড়িতে শুরু হয়েছে উৎসবের মেজাজ। আনন্দে আত্মহারা পরিবারের লোকজন। সকাল থেকে ছেলের পছন্দের রান্না ছেলের পছন্দের কি কি খাবার ছেলে খেতে ভালবাসে সেই সবকিছু সরঞ্জাম করতে ব্যস্ত পরিবার।
advertisement
এ প্রসঙ্গে পূর্ণমের মা তিনি জানান, তার ছেলের ‘ঘর ওয়াপসি’ হচ্ছে, এর থেকে আনন্দের বিষয় আর কিছু নয়। এতদিন যাবৎ গোটা পরিবারের মধ্যে যে উৎকণ্ঠা ছিল তারা আজ অবসান ঘটেছে। ছেলে মিষ্টি দই খেতে ভালবাসে, ছেলে বাড়ি ফিরলেই তাকে মিষ্টি দই খাওয়াবেন পরিবারের সদস্যরা, এমনটা জানিয়েছেন পূর্ণমের মা।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার সঙ্গে সমানে টক্কর! কল্যাণীর দুর্গাপুজোয় এবারেও বিরাট চমক…! কোন থিমে সাজছে ITI লুমিনাস? জানুন
এ প্রসঙ্গে পূর্ণমের স্ত্রী রজনী জানান, ঠাকুর তার প্রার্থনা শুনেছে। অক্ষত অবস্থায় নিজের স্বামীকে ফেরত পেতে চলেছেন তারা। এই খবর সকাল বেলায় এসে পৌঁছয় তার কাছে। এই খবর পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন করেন। তারপর থেকেই উৎসব আনন্দ গোটা পরিবারের মধ্যে।
খবর পাওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেন রজনী সাহুকে। রজনীকে বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আপনার স্বামী ফেরত আসবেন। যাক আজ সকালে হয়ে গিয়েছে। ভালো হয়েছে। দেখুন আমি যেখানে ধরেছিলাম সেখান থেকে ফিরে আসার জায়গা ছিল না। আমি বলেছিলাম, আপনার মন খারাপ হওয়ার কোনও কারণ নেই। উনি ভাল আছেন।” প্রসঙ্গত, ২৩ দিন পর বুধবার সকাল ১০.৩০টায় পূর্ণম সাউকে দেশে ফেরানো হয় বিএসএফের এই জওয়ানকে। পাঞ্জাবের আটারি ওয়াঘা বর্ডার দিয়ে তাঁকে ফেরানো হয়। তার স্ত্রী রজনী জানান, ‘ভিডিও কলে স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ছেলের সঙ্গেও কথা বলেছে পূর্ণম।’
রাহী হালদার