স্থানীয়রাই জানালেন, গত বছরের ঈদেও যেখানে পেট্রাপোল স্থলবন্দর এলাকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যবসায় যুক্ত মানুষদের দম ফেলার ফুরসত ছিল না, তারা এবার মাছি মেরেছেন। ভ্যানওয়ালা থেকে অটো-সহ মুদ্রা বিনিময়কারীরাও এখন তাই দিনবদলের আশায়। যাত্রী পারাপার ও পণ্য পরিবহন চালু থাকলেও, অতীতের যাত্রী পারাপারের যে চাপ লক্ষ্য করা যেত সীমান্তে তা এখন অনেকটাই কম।
advertisement
ভারত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য ৬০ শতাংশ ট্যুরিস্ট ভিসা, ৩০ শতাংশ মেডিকেল ভিসা এবং বাকি অন্য ভিসা প্রদান করে থাকে। কিন্তু এবারে ভিসা ইস্যু হয়নি সেভাবে, ফলে সীমান্ত এলাকায় নির্ভরশীল ব্যবসায়ী মানুষজনদের লক্ষ্মীলাভ অনেকটাই বাধা পেয়েছে। নতুন পেট্রাপোল আধুনিক বন্দর নির্মাণ হলেও, আশা ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকাংশেই বাড়বে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সেই আশায় অনেকটাই যেন জল ঢেলেছে।
এখন তাই সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় মানুষজন চাইছেন দ্রুত বদলাক দুদেশের মধ্যে পরিস্থিতি। আবারও আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যাক পেট্রাপোল বন্দর, যাতায়াত করুক দুদেশের পর্যটক আর তাতেই যেন হাসি ফুটবে সীমান্ত এলাকার এই মানুষদের মুখে।