এমনকী এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে ফেরানো কতটা সহজ হবে তা ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে। অর্চনা মণ্ডল খুলনায় প্যারামেডিক্যাল কর্মী ছিলেন। অসুস্থ, প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে নিজে চিকিৎসা করেছিলেন তিনি। সুস্থ হওয়ার বদলে মৃত্যু হয় মেয়ের। পরিবারের গঞ্জনার মুখে পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: পিঠ থেকে বেরিয়েছে ৩ ইঞ্চি লম্বা ছুরি, আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচার ‘ছোটে নবাব’-এর! তারপর?
advertisement
এরপর কপিল মুনি আশ্রমের কাছে গত তিন-চার বছর থাকছেন তিনি। সাধিকাকে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখে শুরু হয় তাঁর পরিচয় জানার কাজ। বাড়ির প্রসঙ্গ উঠলে এড়িয়ে যেতেন মহিলা। কখনও ধর্মগ্রন্থ থেকে উক্তি উদ্ধৃত করে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতেন।
আরও পড়ুন: NIRF র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ভারতের শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয় কারা? তালিকায় বাংলার কোন ইউনিভার্সিটি? দেখুন
ইতিমধ্যেই অর্চনার স্বামী স্বামী লঙ্কেশ্বর গোলদার জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রাম সোনাডাঙা, উপ-জেলা ডুমুরিয়ার। তিনি হাসপাতালে চাকরি করতেন, মেয়ে ছাড়াও তাঁর এক ছেলে রয়েছে। অর্চনা দক্ষিণেশ্বরে বা কুম্ভমেলায় পরিচিত মুখ বলেই তাঁরা জানা গিয়েছে। এমনকী বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও তিনি সজাগ। ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে ভাইয়ের কথা বলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অর্চনা বাড়ি ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তবে কী ভাবে তাঁকে ফেরানো হবে, তা নিয়েই এখন কথা চলছে।
নবাব মল্লিক