ঠিক যেন সিনেমার গল্প, সলমন খানের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর মতো। কিন্তু এবার ঘটনাটি ঘটেছে বাস্তবে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারালি হাকিমপুর এলাকায়।
আরও পড়ুন: গুগলে কী ‘সার্চ’ করলে আপনার ‘জেল’ হতে পারে জানেন…? গ্যারান্টি, চমকে উঠবেন শুনলেই!
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার পাইথালী গ্রামের বাসিন্দা মমিনুর রহমান। বর্তমানে তার বয়স কুড়ি। মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ এই যুবক ২০১৭ সালে, মাত্র ১২ বছর বয়সে, অজান্তে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। সেই সময় থেকেই তার বাবা গাউস মোড়ল এবং মা মর্জিনা বিবি বাংলাদেশে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ভারতে ঢোকার পর থেকে স্বরূপনগরের তারালি হাকিমপুর এলাকায় ঘোরাঘুরি করত মমিনুর। স্থানীয়রা তাকে খাবার দিতেন ও দেখাশোনা করতেন। এভাবেই চলছিল দিন।
advertisement
সম্প্রতি এলাকার এক যুবক মমিনুরের জীবনকাহিনী নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানেই ঘটে চমকপ্রদ ঘটনা! ভিডিওটি বাংলাদেশে পৌঁছে যায়, আর সেখানে মমিনুরের বাবা-মা ভিডিও দেখে নিজের ছেলেকে চিনে ফেলেন!
আরও পড়ুন: বাংলায় কবে শুরু হবে এসআইআর? বড় আপডেট দিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন!
তৎক্ষণাৎ তাঁরা ভিডিওর নীচে মন্তব্য করে জানান যে এটি তাঁদের হারিয়ে যাওয়া ছেলে। পরবর্তীতে সব প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও প্রমাণ স্বরূপনগর থানায় জমাও দেন তাঁরা। পাশাপাশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ন বিএসএফ) কাছে ছেলের পরিচয় নিশ্চিত করার আবেদন জানান। এরপর ভিডিও কলে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পায় মমিনুর। বাংলাদেশের বাবা-মা ইতিমধ্যেই উপযুক্ত কাগজপত্র পাঠিয়েছেন। সীমান্তের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই মমিনুরের দেশে ফেরার পথ খুলে যেতে পারে।
জুলফিকার মোল্যা





