বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কারখানার যে কর্মীরা কাজে এসেছেন, তাঁদের কাজে ঢুকতে দেওয়া হয়। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী গেটের সামনে তাঁদের তল্লাশি করে ঢুকতে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরঙ্গবাদের অফিসে যে সমস্ত ম্যানেজাররা আর্থিক লেনদেন করতেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আয়কর দফতরের কর্তারা। গোডাউনে যে সমস্ত মালপত্র রয়েছে, তার স্টক রেজিস্টার মিলিয়ে দেখেছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের ২ 'বড়' নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড! যা করেছিলেন তাঁরা, জানলে আঁতকে উঠবেন
ব্যাঙ্কের মাধ্যমে যে সমস্ত আর্থিক লেনদেন বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে, সেই সমস্ত কাজগপত্র তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। মূলত অরঙ্গাবাদের অফিস থেকে পতাকা বিড়ি দেশের বিভিন্ন রাজ্য পাঠানো হয়। বিড়ি ব্যবসা ছাড়াও চা, রেশম শিল্পের মতো অনেক ব্যবসা পতাকা ইন্ডাস্ট্রির রয়েছে সেই সমস্ত কাগজপত্র তারা খতিয়ে দেখেন। তবে পর পর বিড়ি মালিকদের কারখানাতে তল্লাশি হওয়ায় কিছুটা হলেও আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।
কারখানার কর্মী মজিবুর রহমান বলেন, 'আমাদের এই কারখানায় কোনও অবৈধ কাজ হয়না। সেই কারণেই আয়কর দফতরের আধিকারিকরা কোনও কিছু পাননি। তবে একদিন কাজ বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।'
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দুই প্রার্থীর পরাজয়, হারাল তৃণমূলই, সঙ্গী বিজেপি! বাঁকুড়ায় এ কী কাণ্ড
ধুলিয়ানের পতাকা ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজার খুরশেদ আলি বলেন, 'আয়কর দফতর আমাদের সময় নষ্ট করেছেন। আমাদের সমস্ত কাগজপত্র ঠিক রয়েছে। হিসেবের বাইরে উনারা কিছু পাননি। শুধু কিছু কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন। অবৈধ টাকা বা নথিপত্র কিছু পাননি তারা।'
সুতি ২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, বিড়ি শিল্পের উপর আঘাত আনার একটা চেষ্টা হচ্ছে। সামনে লোকসভা ভোট সেই কারণেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। বিজেপির উত্তর জোনের ব্লক সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, আয়কর দফতর একটি স্বাধীন সংস্থা। তাদের অধিকার রয়েছে তল্লাশি করার। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।