আয়কর দফতর সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার এগারোটা জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। জাকির হোসেনের চালকল তেলকল সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। একটি অফিস থেকে ৯কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও জাকির হোসেনের দাবি, তেল মিল ও চাল মিলে নগদ টাকায় শস্য কিনতে হয়। বিড়ি শ্রমিকদের সপ্তাহান্তে মজুরি প্রদান করতে হয়। সেই টাকাই রাখা ছিল বিভিন্ন জায়গায়।
advertisement
আরও পড়ুন: মকরে আবহাওয়ার তুমুল বদল? কেমন থাকবে কলকাতা সহ বাকি রাজ্য, বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
মুর্শিদাবাদের সুতির একাধিক বিড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন আয়কর আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, জাকির হোসেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। অতীতে রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। যদিও কী কারণে, তাঁর বিড়ি কারখানা ও চালকলে আয়কর হানা সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ সামসেরগঞ্জের গোবিন্দপুরের আনন্দ ফ্যাক্টরি , ধূলিয়ানের বিজলি বিড়ি কারখানা এবং সুতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি তথা শিব বিড়ি কারখানাতে হানা দেয় আয়কর দফতরের বিশাল প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: নিউ টাউনের রাস্তায় চাপ-চাপ রক্ত আর পড়ে দুই দেহ! রাতের ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আচমকাই এদিন সকালে সামসেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত প্রাক্তন মন্ত্রীর কারখানা ও বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে বিএসএফ জওয়ানরা। দফায় দফায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে হানা দেয় ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল ওই এলাকায়। সেই টানা তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর।