গ্রামবাসীদের ভরসা নদীর চুয়া কাটা জল। গ্রামে পৌঁছায়নি নল বাহিত পানীয় জল, একমাত্র নলকূপ ভরসা। কিন্তু সেই জলও পানের অযোগ্য।
তাই পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে গ্রামের মানুষের সম্বল জলাশয়ের পাশে তৈরি করা চুয়া। পানীয় জলের সমস্যার জন্য ভেস্তে যাচ্ছে একের পর এক বিয়ে৷ জোড় খালের ধারে থাকা ছোট ছোট গর্ত চুইয়ে যে জল জমে তা সংগ্রহ করে দীর্ঘ কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করে আসছে এই গ্রাম।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার বুকে যেন এক টুকরো ‘মিনি পহেলগাঁও’! কলকাতার খুব কাছেই, সবুজে ঘেরা এই জায়গা কোথায় জানেন কী?
ছোট চাকা নদীর কোলে অকড়বাইদ গ্রামের দক্ষিণ বহাল সহিস পাড়ার অবস্থান। সব মিলিয়ে বসবাস প্রায় ১৫-টি পরিবারের। একমাত্র নলকূপ থেকে ঘোলাটে , দুর্গন্ধময় জল বার হয়। যা পানের অযোগ্য তো বটেই, সেই জল দিয়ে রান্নাবান্নাও হয়না। তাই সারা বছর পানীয় জল সংগ্রহের জন্য গ্রামের মানুষকে নির্ভর করতে হয় গ্রামের অদূরে জলাশয়ের পাশে তৈরি ছোট ছোট গর্তের উপর জমে থাকা জলের উপরে। প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
আরও পড়ুন: বদলে যাবে পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের নাম! বাসিন্দাদের দাবি ঘিরে জল্পনা, শুধু জেলাশাসকের এক কথার অপেক্ষা
এলাকার মানুষের পানীয় জল সংগ্রহের একমাত্র ভরসা ছোট চাকা নদীর জল। এই জলের সংকটের কারণে গ্রামে একের পর এক বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। কেউ এই গ্রামে নিজের মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছেন না। তাই এই সমস্যার কবে সমাধান মেলে সেই আশাতেই গ্রামবাসীরা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি





