মিড ডে মিলের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বেশি করে দেখানোর বিষয়টি অভিভাবকদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার ঘটিয়েছে। তবে লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র পন্ডা’র বিরুদ্ধে আরও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, সর্বশিক্ষা মিশনের অর্থ, স্কুলে পড়ুয়াদের বার্ষিক ফি, গাছ বিক্রির লক্ষ লক্ষ টাকা একাই আত্মসাৎ করেছেন এই প্রধান শিক্ষক। এই কাজে যাতে অসুবিধা না হয় তাই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুলে পরিচালন সমিতি গঠন করেননি।
advertisement
আরও পড়ুন: রঘুনাথপুরের বাসিন্দাদের জন্য সুখবর! আর ভুগতে হবে না যানজট সমস্যায়, বিরাট পরিকল্পনা পৌরসভার
উল্লেখ্য, লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠে দীর্ঘদিন পরিচালন সমিতি নেই। এই বিষয়ে শিক্ষার দফতর থেকে বারবার কার্যকরী পদক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেওয়া হলেও প্রধান শিক্ষক গড়িমসি করে পরিচালন সমিতি তৈরির বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাফাই, শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের চাপের কারণেই পরিচালন সমিতি গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে পড়ুয়ার উপস্থিতি বেশি দেখিয়ে মিড ডে মিলের অতিরিক্ত অনুদান আদায়ের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তির তীব্র সমালোচনা করেছেন গঙ্গাজলঘাটির স্কুল পরিদর্শক মহাদেব মাইতি। তিনি বলেন পড়ুয়ার উপস্থিতি বেশি দেখিয়ে মিড ডে মিলের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। সেইসঙ্গে একটি খাতের টাকা অন্য খাতে খরচ করা যায় না। দ্রুত প্রধান শিক্ষক এই বিষয়ে তাঁর কাজের ব্যাখ্যা ও হিসাব জমা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় গা ঢাকা দিয়েছিল বিষ্ণুপুরের যুবক! তুলে আনল বাংলার পুলিশ, কারণ জানলে স্যালুট জানাবেন
এদিকে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা পরিষ্কার জানিয়েছেন, দ্রুত স্কুলে পরিচালন সমিতি গঠন করার পাশাপাশি যাবতীয় খরচের হিসাব প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে দিতে হবে। না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।