রাণীগঞ্জে শিশু বাগান এলাকায় ১৭ থেকে ১৮ কাঠা জমিতে বৃদ্ধাশ্রম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু সেই জমিতেই অবৈধভাবে চলছিল চাষ-আবাদ। অবশেষে বড়সড় পদক্ষেপ করল আসানসোল পুরসভা।
এই বিষয়ে এক পুর আধিকারিক জানিয়েছেন, রানীগঞ্জের এই জমিতে আসানসোল পুরসভা একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করবে। কিন্তু বিগত দু-তিন বছর ধরে ওই জায়গাটি দখল করে চাষাবাদ করা হচ্ছিল। তাই জায়গাটি খালি করতে বলা হয়েছিল।
advertisement
কিন্তু তার বদলে নতুন করে আবার সেখানে চাষ-আবাদ শুরু হয়েছিল। অন্যদিকে সবুজ সংকেত আসার পরেও চাষ-আবাদের কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। তাই অবশেষে পুরনিগম উদ্যোগ নিয়ে জমি খালি করে দিয়েছিল।
যদিও সেখানে কৃষিকাজ করা পরিবারের এক সদস্য দাবি করেছেন, এই জায়গাটি তাঁদের দিয়েছিলেন শিয়ারশোলের রাজা। তাঁদের দাদুকে এই জায়গাটি তিনি চাষাবাদ করার জন্য দিয়েছিলেন।
তবে সরকারি হিসাব অনুযায়ী এই জায়গাটি আসানসোল পৌরসভার নামেই রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁরা বিগত ৫০ বছর ধরে এখানে চাষ-আবাদ করছেন। যদিও পৌরসভা জানিয়েছেন, ওই জায়গায় বৃদ্ধাশ্রম তৈরির পরিকল্পনা নেওয়ার পর থেকেই চাষ-আবাদ শুরু হয়েছিল।
পুরসভা সূত্রের খবর, বৃদ্ধাশ্রম তৈরির জন্য অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনা চলছে। পরিকল্পনায় শিলমোহরও পাওয়া গিয়েছে। সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করা হবে পুরসভার উদ্যোগে। যা গোটা জেলার মানুষের জন্য উপকারী হবে। বহু বৃদ্ধ বৃদ্ধার ঠিকানা হবে সেই জায়গা।
কিন্তু সরকারি কাজে বাধা দিতেই কৃষি কাজ করার ফন্দি আঁটা হয়েছিল। জায়গা খালি করতে বলার পরেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। তাই অবশেষে বুলডোজার দিয়ে সেই জমি খালি করা হয়েছে।
নয়ন ঘোষ