পুরসভার তরফে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু অভিযোগ, পুরসভার নির্দেশের পরেও কাজ বন্ধ হয়নি। দিনের বদলে রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে কাজ শুরু হয়। এরপরেই রাত পাহারার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাত জেগে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন এলাকার মহিলা-পুরুষেরা।
আরও পড়ুন: ফের পায়ের ছাপ! কোথায় গেল, চলছে খোঁজাখুঁজি! বাঘের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না কুলতলির
advertisement
স্থানীয় এসইউসি কাউন্সিলার বলেন, “পুরসভা নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। পুলিশও এসে বারণ করে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাতের অন্ধকারে কাজ হচ্ছে। পুলিশ ঘুরে চলে গেলেই ওরা আসছে। তাই এলাকার বাসিন্দারাই পালা করা রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছে। এত কিছুর পরেও কীভাবে, কাদের মদতে কাজ হচ্ছে? এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই এলাকার বাসিন্দা তথা জয়নগর-মজিলপুরের প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান প্রবীর বৈদ্য বলেন, “কাজ বন্ধ করতে হবে এবং যেটুকু নির্মাণ হয়েছে, তা ভেঙে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।” এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা এই পুকুর ব্যবহার করি। এই পুকুরে এ ভাবে বেআইনি নির্মাণ হতে দেব না। পুকুর বাঁচাতেই রাত জেগে সবাই মিলে পাহারা দিচ্ছি।”
বাসিন্দারা জানান, পুকুরের কিছুটা সরকারি সম্পত্তি। বাকিটা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অংশের বহু শরিক রয়েছে। তাঁদের অনেকেই বর্তমানে মৃত। কেউ কেউ বাইরে থাকেন। মালিকপক্ষের তরফে পুকুর দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিই বাইরে থেকে লোক এনে এই নির্মাণ করাচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চায়নি।
জয়নগর-মজিলপুরের পুরপ্রধান বলেন, “খবর পেয়েই পুরসভার তরফে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য স্তরেও চিঠি দিয়ে জানানহয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সুমন সাহা