আজ যেখানে আইআইটি খড়গপুর প্রতিষ্ঠিত, সেখানে এক কালে ছিল বন্দী নিবাস, এখানেই ব্রিটিশ শাসকেরা বন্দী করে রেখেছিলেন এই বাংলার বীর বিপ্লবীদের। এককালের হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্প, পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয় আইআইটি। বাংলার বিপ্লবের আঁতুড়ঘর অবিভক্ত মেদিনীপুর। সারাদেশে ব্রিটিশ হটাতে গর্জে উঠেছিল বাংলার যুবকেরা।
রাতের ট্রেনে ডিউটিতে TTE, AC কামরায় মহিলা যাত্রীকে বললেন, ‘দেখি টিকিট?’ তার পর যা হল…!
advertisement
বিয়ের রাতে নাচের পর চুপচাপ শৌচালয়ে ঢুকেছিলেন কনে, পিছু নিলেন মা…দরজা খুলতেই চিৎকার!
বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলার বীরেরা। তবে এই মেদিনীপুরে, যেখানে আজ আইআইটি খড়গপুর প্রতিষ্ঠিত সেখানেই ছিল বন্দী নিবাস। যেখানে আটকে রাখা হত স্বাধীনতার সংগ্রামে যুক্ত বিপ্লবীদের। চালানো হয় নির্বিচারে গুলি, এককালের হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্প বা হিজলি বন্দী নিবাস আজ বহু স্মৃতি বহন করে চলেছে। আঁকড়ে ধরে রেখেছে এককালের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতিটি দিন। যেই বন্দী নিবাসে নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গর্জে উঠেছিলেন, লিখেছিলেন, \”ভগবান তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারেবারে, দয়াহীন সংসারে\”।
দেশকে স্বাধীন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একদল তরুণ তরুণী। হিজলী বন্দী নিবাসে ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাত্রি প্রায় সাড়ে নটা নাগাদ, নিরস্ত্র বন্দিদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। চালানো হয় গুলিও। নিরস্ত্র বন্দিদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই বীর বিপ্লবীর। সুভাষচন্দ্র বসুর সহপাঠী সন্তোষ মিত্র, এবং মাস্টারদা সূর্যসেনের অনুগামী তারকেশ্বর সেনগুপ্ত মৃত্যু হয়। হিজলী হত্যাকাণ্ডের পর রবীন্দ্রনাথ লিখলেন প্রশ্ন কবিতা,
ভগবান তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারে বারে, দয়াহীন সংসারে।তাঁর কবিতায় লিখলেন,
\”আমি-যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে হেনেছে নিঃসহায়ে,
আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।\”
ইতিহাসের পাতা ওল্টালেই দেখা যাবে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম নাম হিজলি।এখন যেখানে খড়্গপুর আইআইটি’র পুরানো ভবন, পরাধীন ভারতে সেখানেই ছিল হিজলি বন্দী নিবাস। অদূরে প্রথম মহিলা জেল। ১৬ সেপ্টেম্বরের সেই রাতে হিজলি বন্দি নিবাসে ‘পাগলা ঘন্টা’ বাজিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায় ইংরেজ পুলিশ। খবর পেয়ে সুভাষচন্দ্র ও যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত হিজলিতে আসেন। হিজলি ও চট্টগ্রাম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ওই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এক সভা হয়। সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
রঞ্জন চন্দ