প্রায় পাঁচ হাজার বছরে বহমান কালের নানা ইতিহাসের সাক্ষী তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি। বর্তমানে ভগ্নপ্রায় রাজবাড়ির আনুমানিক বয়স প্রায় চারশো বছরের কাছাকাছি। ২০০৪ সালে এই তাম্রলিপ্ত রাজবাড়িটি হেরিটেজ স্বীকৃতি লাভ করে। মধ্যযুগীয় ইন্দো ইসলামীয় স্থাপত্যের নিদর্শন তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি।
advertisement
ভারতের মধ্যযুগে দেখতে পাওয়া যায় তাম্রলিপ্তের নিদর্শন। মধ্যযুগে তাম্রলিপ্ত বন্দর ছিল অন্যতম। এই তাম্রলিপ্ত বন্দর দিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সিংহল যাত্রা করেছিলেন সম্রাট অশোকের পুত্র ও কন্যা। এছাড়াও এই তাম্রলিপ্ত নগরীতে এসেছিলেন বিখ্যাত পরিব্রাজক ফা হিয়েন, হিয়েন সঙ, পাঁচ ইনিয়েত। এর থেকে জানা যায়, প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরী গৌরবময় ইতিহাসের কথা। আধুনিক কালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ির কথা। বর্তমানে পুরানো প্রাসাদ পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের অধীনে। সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর, তা থমকে যায়।
তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের সদস্য তথা তমলুক পৌরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি তথা তাম্রলিপ্ত নগরীর ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের পুরানো। মুর্শিদাবাদ থেকে ইট এসেছিল। এসেছিল মুর্শিদাবাদের মিস্ত্রিরা। লোহার পাইপের খাঁচা দিয়ে কাজ শুরু হয়। ভিতরে ঝোপঝাড় পরিষ্কার হয়। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে কাজ থমকে গিয়েছে। তবে দ্রুত চালু হবে এই কাজ। কেন্দ্র পুরাতত্ত্ব বিভাগের দু’জন কর্মী নিযুক্ত আছেন। তারা এই পুরনো রাজবাড়ি চত্বর প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখেন।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রাচীন তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের এই রাজপ্রাসাদটি ভগ্নপ্রায় দশায় রয়েছে। ২০০৪ সালে তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি ন্যাশনাল হেরিটেজ কমিশনের, হেরিটেজ স্বীকৃতি পায়। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল রাজবাড়ি সংস্কারের কাজ। লোহার খাঁচা দিয়ে কাজ শুরু হয় ২০২২ সাল থেকে। মুর্শিদাবাদ থেকে আসে বিশেষ ধরনের ইট। এমনকি মুর্শিদাবাদের প্রখ্যাত মিস্ত্রিরা কাজ শুরু করেন। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে কাজ থমকে যায়।
রাজবাড়ির ইট-কড়ি-বর্গায় হাজার হাজার বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। কিন্তু সময়ের নিয়মে তা বর্তমান প্রজন্ম ভুলতে বসেছে। ফলে তমলুক-সহ জেলাবাসীর দাবি, এই রাজবাড়ির দ্রুত সংস্কার হোক।





