TRENDING:

East Medinipur: স্কুলের সংগ্রহশালাই যেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবন্ত ইতিহাস! বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরামদের ব্যবহৃত সামগ্রী, দুষ্প্রাপ্য মুদ্রা আরও কত কী

Last Updated:

East Medinipur News: তমলুক হ্যামিলটন স্কুলের সংগ্রহশালায় রয়েছে বিদ্যাসাগরের ব্যবহৃত লাঠি, গায়ের বস্ত্র, ক্ষুদিরাম বসুর স্কুলে পড়ার রেজিস্টার, ভারতবর্ষের নানান পার্টির মুদ্রা-সহ একাধিক জিনিস। ২০০১ সালে এই স্কুল হেরিটেজ স্কুলের মর্যাদা পায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর, সৈকত শী: শুধু পড়াশোনা নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস-সহ এই স্কুলের মিউজিয়াম বা সংগ্রহশালা রীতিমত উল্লেখযোগ্য। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ওতপ্রতভাবে জড়িত তেমনই এই স্কুলের সংগ্রহশালায় রয়েছে দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন মুদ্রা-সহ একাধিক জিনিস। আর এই সংগ্রহশালা বা মিউজিয়াম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে মিউজিয়াম নিয়ে কলকাতা প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ থেকে গবেষণা করা হচ্ছে। এমনকি সেই গবেষণাপত্র পাঠানো হয়েছে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন জায়গায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বা অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার এই স্কুল। এই স্কুল শিক্ষা-দীক্ষার ক্ষেত্রে জেলার একটি নামকরা স্কুল। স্কুলটি হল হ্যামিল্টন স্কুল।
advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুক। এই শহরের একটি নামী স্কুল হল তমলুক হ্যামিলটন স্কুল। স্কুলটি ১৮৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০১ সালে এই স্কুল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন থেকে হেরিটেজ স্কুলের মর্যাদা পায়। স্কুল শুধু মেধাবী ছাত্রদের জন্য নয়। ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে স্বদেশী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এই স্কুলের ছাত্ররা। তমলুকের এই স্কুলে স্বদেশী আন্দোলনের বীজ বপন হয়েছিল যদুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ক্ষুদিরাম-সহ অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের হাত ধরে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ অনলাইনের যুগেও বইয়ের ট্রেন্ড অটুট জেলা বইমেলায়, শুরু মেদিনীপুর বুক ফেয়ার, দেরি না করে কচিকাঁচাদের নিয়ে ঘুরে আসুন

বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। বিভিন্ন দিকে বিশ্বজুড়ে খ্যাতিলাভ করেছেন এমন ব্যক্তিরা ও এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। স্কুলের সংগ্রহশালাটি রীতিমত দেখার মতো। এই সংগ্রহশালায় রয়েছে বিদ্যাসাগরের ব্যবহৃত লাঠি, গায়ের বস্ত্র, ক্ষুদিরাম বসুর স্কুলে পড়ার রেজিস্টার ভারতবর্ষের নানান পার্টির মুদ্রা একাধিক জিনিস।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ নদী-সমুদ্রে মাছের জোগান কমছে, জীবিকার সংকটে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা! পেটের দায়ে পথে নেমেছেন জেলেরা

এ বিষয়ে স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক সূর্যেন্দু মিশ্র জানান, “স্কুলের মিউজিয়ামে রয়েছে দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন মুদ্রা, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ব্যবহৃত লাঠি ও গায়ের বস্ত্র-সহ একাধিক প্রাচীন জিনিসপত্র। এই মিউজিয়াম নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ গবেষণা করেছে। সেই গবেষণাপত্র লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে পাঠানো হয়েছে। স্কুলের অর্থের অভাবে এই সব দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন জিনিসপত্র সংরক্ষণ করাটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুলের এই সংগ্রহশালা ছাত্রদের কাছে খুব প্রিয়। এছাড়াও সংগ্রহশালায় রয়েছে প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি-সহ নানান জিনিস।”

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
স্কুলের তৈরি 'ব্যাঙ্কে' বদলে যাচ্ছে শিশুদের ভবিষ্যত, টিফিনের টাকা জমছে ভাঁড়ে
আরও দেখুন

বর্তমান সময়ে সরকারি স্কুলগুলিতে যেখানে সঠিক পঠনপাঠনের অভাব দেখা যায়। সেখানে ১৭৫ বছরের পা দেওয়া এই স্কুল পঠনপাঠনের দিক থেকে যেমন উন্নত তেমনই এই স্কুলের মিউজিয়াম অন্যতম দেখার বিষয়। তমলুক শহরে অবস্থিত হ্যামিল্টন স্কুল শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নয় রাজ্যের শিক্ষা জগতে একটি গৌরবময় অধ্যায়। এই স্কুলের সংগ্রহশালায় দুষ্প্রাপ্য জিনিসপত্র সযত্নে রাখা হয়েছে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur: স্কুলের সংগ্রহশালাই যেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবন্ত ইতিহাস! বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরামদের ব্যবহৃত সামগ্রী, দুষ্প্রাপ্য মুদ্রা আরও কত কী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল