দিনকয়েক আগেই অশোকনগরের বুজরুক দিঘা এলাকা থেকে এক যুবকের গলার নলি কাটা অবস্থায় দেহ উদ্ধারে হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ওই ব্যক্তির পরনের পাঞ্জাবির পকেটে মেলে নন্দীগ্রাম কলকাতার রুটের বাসের টিকিট।
সেই বাসের টিকিট ধরেই মৃতের পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম নুর আলম বয়স ৩২, বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের কাঞ্চন নগর এলাকায়। ইতিমধ্যেই বারাসত হাসপাতালে এসে পরিবারের সদস্যরা দেহ শনাক্ত করেছেন। মৃতের দাদা শেখ মেহেবুব আলম জানান, মানসিক সমস্যায় ভুগতেন নুর, মাঝেমধ্যেই হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তেন।
advertisement
আরও পড়ুন- এক টেস্ট সিরিজে ভারতীয়দের মধ্যে সবথেকে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড কার?৫২ বছর অক্ষত সেই নজির
চলতি মাসের শুরুতে তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। তবে কীভাবে তিনি অশোকনগরে এলেন, কেন বা কারা তাঁকে খুন করল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অশোকনগর থানায় ইতিমধ্যেই খুনের মামলা রুজু হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কোবরা জওয়ান ছিলেন নূর।
২০১৮ সালে মানসিক সমস্যার কারণে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর এই মানসিক ভারসাম্যহীনতার কথাও স্বীকার করেছে পরিবার। ওই ব্যক্তির দুটি বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তবে কীভাবে অশোকনগরে পৌঁছলেন, আর কেন তাঁকে এভাবে গলার নলি কেটে খুন করা হল, সেই রহস্যভেদেরই চেষ্টা চালানো হচ্ছে পুলিশের তরফে।
–রুদ্র নারায়ণ রায়