লন্ডনে পড়াশোনা, ক্যানভাসে আঁকেন ছবি! বিহার নির্বাচনে তোলপাড় তুলেছেন… কে এই ‘নতুন চাণক্য’?
ডাক্তারি ছেড়ে IAS অফিসার! এখন ৫১ কোটি টাকার ঘুষকাণ্ডে নাম জড়াল যে কারণে… স্ত্রীও আমলা!
আনাশ আহমেদ জানান, “গত ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে আমাদের এক ট্রাক মালিক ইন্দ্রাদুল হোসেনের দু’টি ট্রাক পুলিশ ধরে। পরে কোর্ট থেকে রিলিজ অর্ডার হলেও সংশ্লিষ্ট দু’ই আধিকারিক ফোনে চাপ সৃষ্টি করে বলে দু’টি ট্রাকের জন্য ৭০ হাজার টাকা করে দিতে হবে, নইলে এনওসি দেওয়া হবে না।” তিনি আরও দাবি করেন, “এই দাবি প্রমাণের জন্য আমাদের কাছে ফোনালাপের অডিও ও টাকাপ্রদানের ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এএসআই শাইফুল ইসলাম ও কিরণ মন্ডল নিজে হাতে টাকা নিচ্ছেন।”
advertisement
ট্রাক মালিক ইন্দ্রাদুল হোসেন বলেন, “আমার একসময় ২৬টা ট্রাক ছিল, এখন তিনটেই ঠেকেছে। তার মধ্যে দু’টোই পুলিশ ধরেছে। কোর্টে রিলিজের আগে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি অনুনয় করলেও শেষে ৬০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। শাইফুল ইসলাম নিজের হাতে টাকা নেয়। তার ভিডিও আমি লুকিয়ে তুলেছি।”
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “আমরা এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ ডিএম, এসপি, ডিআরজি স্যার, ডিজি স্যার এবং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাব। প্রশাসনের যাঁরা রক্ষক, তাঁরা যদি ভক্ষকে পরিণত হন, তাহলে আমাদের অন্য রাস্তা নেই।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, মহম্মদবাজার থানার আইসি প্রসেনজিৎ ঘোষ-এর নেতৃত্বে এক চক্র চলছে, যার সঙ্গে যুক্ত শফিকুল ইসলাম ও কিরণ মন্ডল। এই চক্রের মাধ্যমেই টাকা আদায়ের র্যাকেট চালানো হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে বীরভূম জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে যেখানে মহম্মদবাজার থানার দু’ই অফিসারকে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা যায়। তাদের তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশ এই ধরনের কাজের কঠোর নিন্দা করে ও স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে।”