TRENDING:

বিলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার 'এই' ঐতিহ্য! মেশিনের দাপটে কমেছে ব্যবহার, হারাচ্ছে পুরনো কদর

Last Updated:

মনসা পুজোর পিঠে তৈরিতে পুরুলিয়ার গ্রামে একসময় ঢেঁকি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পুরুলিয়া, শান্তনু দাসঃ আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের কাঠের ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির পথে! পুরুলিয়ার গ্রামে মনসা পুজো এলেই একসময় ঢেঁকির ধুপুর-ধাপুর শব্দে মুখরিত হত জনপদ। ঢেঁকিছাঁটা চালের গুঁড়োর পিঠের গন্ধে মন জুড়িয়ে যেত সকলের। ঢেঁকির উপর দাঁড়িয়ে দুই পা দিয়ে লয়ে লয়ে চাল ভাঙত বাড়ির মেয়ে-বউরা। কেউ হেসে গল্প বলত, কারও আবার মুখে শোনা যেত টুকরো টুকরো লোকগান। কিন্তু এখন সেই সব অতীত। ঢেঁকির সেই শব্দ আর শোনা যায় না। কাঠের ঢেঁকি এখন গ্রামীণ জনপদে বিলুপ্তি প্রায়। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন এর ব্যবহার নেই বললেই চলে।
advertisement

মনসা পুজোর পিঠে তৈরিতে পুরুলিয়ার গ্রাম বাংলায় একসময় ঢেঁকি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। পুজো এলেই বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হত নানা রকমের পিঠে। আর সেই পিঠের চাল গুঁড়ো হত এই কাঠের ঢেঁকিতে। জেলার প্রত্যন্ত গ্রামেগঞ্জে যেন উৎসবের এক অপরিহার্য অংশ ছিল এই ঢেঁকি। কালের বিবর্তনে এখন মেশিন আসার পর এই ঢেঁকির ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ২৮ জনের অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টি, বসানো হল ৩৯টি স্টেন্ট! কোথায় এই নজির?

আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে শহর থেকে গ্রামে। মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে তৈরি করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি, ব্যবহার হচ্ছে নানা রকম প্রযুক্তি। এখন মেশিনের মাধ্যমেই চালের গুঁড়ো করে পুজোর পিঠে তৈরি করছেন গ্রাম বাংলার গৃহবধূরা। অথচ একসময় ঢেঁকি ছিল গ্রামীণ জনপদে চালের গুঁড়ো তৈরি করার একমাত্র মাধ্যম। যা এখন গ্রামীণ জনপদে বিলুপ্ত হতে বসেছে।

advertisement

বর্তমানে পুরুলিয়ার গ্রামে পুরনো এই ঐতিহ্যের কাঠের ঢেঁকি টিকিয়ে রেখেছেন কিছু মানুষজন। কাশীপুরের কাঁটারাঙ্গুনী গ্রামের গৃহবধূ মাধুরী মাহাতো বলেন, বহু বছর ধরে আমরা এই ঢেঁকির মাধ্যমেই চালের গুঁড়ো করে পিঠে তৈরি করে আসছি। আধুনিক প্রযুক্তি যতই আসুক না কেন এই ঢেঁকিছাঁটা চালের গুঁড়োর পিঠের স্বাদই আলাদা।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

অধিকাংশ জায়গাতেই অবশ্য এখন ঢেঁকি পড়ে থাকে বাড়ির উঠোনের এক কোণে, ধুলোমাখা অবহেলিত হয়ে। মেশিন এসে নিয়েছে তার জায়গা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ আর কাউকে ঢেঁকিতে পা চালাতে হয় না, পিঠের চাল গুঁড়ো করতে লাগে না উঠোনভরা নারীর হাসি কিংবা লোকগানের ছন্দ!

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বিলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার 'এই' ঐতিহ্য! মেশিনের দাপটে কমেছে ব্যবহার, হারাচ্ছে পুরনো কদর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল