বনগাঁ মহকুমার বাগদা থানার মেহেরানি কুরুলিয়া এলাকায় এমন ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, ২৮ বছর আগে কর্মসূত্রে গুজরাতে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া জগবন্ধু মণ্ডল হঠাৎই ফিরে এসে দাঁড়িয়েছেন নিজের বাড়িতে। যাঁকে এতদিন মৃত মনে করে পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম পর্যন্ত সেরে ফেলেছিল পরিবার, তাঁকে জীবিত দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই।
advertisement
স্থানীয়দের কথায়, দুই দশকেরও বেশি সময় আগে এলাকার আরও কয়েকজনের সঙ্গে কাজের সন্ধানে গুজরাতে গিয়েছিলেন জগবন্ধু মণ্ডল। তখন বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে। সহযাত্রীরা ফিরলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। শুরু হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষা।
বহু খোঁজখবর, এমনকি ওঝা-গুনিন-জ্যোতিষীদের কাছেও গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকেই জানানো হয় জগবন্ধু হয়ত আর বেঁচে নেই সেই খবর। শেষ পর্যন্ত কুসংস্কারের সম্মুখীন হয়ে তার পরিবার জগবন্ধুর পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মও সম্পন্ন করেন। এদিকে, ২৮ বছরের ব্যবধানে বদলে যাওয়া চেনা এলাকা চিনতে না পারায় নিজে বাড়ি খুঁজে পাননি জগবন্ধু মণ্ডল। এলাকাবাসীরাই তাঁকে চিনে বাড়ি পৌঁছে দেন।
আচমকা তাঁকে দেখে ভূত দেখার মতো অবস্থা হয় পরিবার পরিজনেদের। প্রতিবেশীরা জানান, তাঁকে ঘিরে এলাকায় গুঞ্জনও ছড়িয়েছে যে, বাঁকুড়া জেলার রায়পুর দুবালিতে নাকি দ্বিতীয়বার বিবাহ করেছিলেন জগবন্ধু মণ্ডল।
বাঁকুড়ার ভোটার তালিকায় তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে স্ত্রীর নাম। সুলেখা মণ্ডল তাঁর স্বামীর নামে উল্লেখ রয়েছে জগবন্ধু মণ্ডলের নাম। যদিও তিনি সেই দাবি অস্বীকার করেছেন। বিতর্ক উঠলেও সবচেয়ে বড় বিষয় হল ২৮ বছর পর ‘হারিয়ে যাওয়া’ পরিবারের সদস্যকে জীবিত হিসাবে ফিরে পেয়ে পরিবারে এখন খুশির হাওয়া।






