প্রতিবছর এই বিশেষ দিনগুলিতে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দেশ মাতার সম্মানে শামিল হয় দেশবাসী। পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দেশ মাতার সন্মানের পর অনেকাংশে জাতীয় পতাকার অসম্মানি হওয়ার ঘটনা দেখা যায়। পতাকা উত্তোলণ স্থান, রাস্তা, পুকুরপাড় বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রতিকী জাতীয় পতাকা। রাস্তায় পড়ে থাকছে জাতীয় পতাকা, পড়ে থাকা সেই পতাকা চলে যাচ্ছে সাইকেল বাইকের চাকার তলায়, এমনকি তার উপর পানের পিক ফেলতেও দ্বিধা করছে না একাংশের মানুষ। দেশের জাতীয় পতাকা এভাবে অবমাননা হতে দেওয়া যায় না বলেই মনে করেন মনু। তাই সেইসব পড়ে থাকা পতাকা সযত্নে সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে পৌঁছয়। ভারত মাতার ছবি লাগানো বিশাল লোহার বাক্সে যত্নে সংগ্রহ করে রাখা।
advertisement
হাওড়ার মনুর কথায়, গর্ভধারনী মায়ের মতোই দেশবাসীর অন্য এক মা আমাদের দেশ। মায়ের মতোই সম্মান করা প্রয়োজন। সেই দিক থেকে জাতীয় পতাকা অসম্মানিত হওয়া মানে দেশ মায়ের অসন্মান। তাই দেশ মায়ের অসম্মান রুখতে, পতাকা উত্তোলনের পরদিন থেকে অভিযান শুরু হয় তাঁদের। দেশ মাকে সম্মান জানাতে তার গর্ভধারনী মায়ের কথামতোই ২০০৮-০৯ সাল থেকে এই অভিযান শুরু করে মনু। বর্তমানে তাঁর এই কর্মকাণ্ড দেখে। প্রায় দেড় হাজার মানুষ পথে নেমেছেন। প্রায় ১৭ বছর আগে একা নামা লড়াইয়ে এখন তাঁর সঙ্গী হাজার হাজার মানুষ। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রকৃত সম্মান পাচ্ছে ভারত মা। এটাই তার কাছে পরমপ্রাপ্তি বলেই মনে করেন মনু।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে প্রিয়রঞ্জন সরকার (মনু) জানান, “ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অধিকার আমাদের কারণেই। আশা করব সকলেই সেই দিক থেকে সতর্ক থাকবে। সাধারণ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটাই বার্তা দেশ মাকে সম্মান জানাতে অসংখ্য পতাকার প্রয়োজন নয়, সযত্নে একটা পতাকা উত্তোলনই যথেষ্ট।”