হাওড়া জেলার পাঁচলা ব্লকের অন্তর্গত বর্ধিষ্ণু জালালসি গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র জাটি। ছাত্র বয়সে এক স্কুল শিক্ষকের কাছে প্রথম মাটির জিনিস তৈরিতে শিক্ষালাভ। বিভিন্ন জীবজন্তু পশু পাখির মত নানা জিনিস তৈরি করতেন। তারপর গ্রামের কুমোর পাড়ার দক্ষ কারিগরদের কাছে কীভাবে মাটি তৈরি মাটি পিটিয়ে কীভাবে আরও শক্ত পক্ত জিনিস তৈরি করা যায় শিক্ষা লাভ। এরপর অজন্তা ইলোরার মত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দেখা ভাস্কর্য দারুণভাবে আকৃষ্ট করে তার মন। শিক্ষকতার পাশাপাশি সেইসব পাথরের মূর্তির অনুকরণে মাটি দিয়ে মূর্তি তৈরি শুরু করেন। যখনই সময় পান মূর্তি তৈরীর কাজে হাত লাগান। মাটি তৈরি করা থেকে সম্পূর্ণ মূর্তির রূপ দিতে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় লাগে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাক্ষাৎ যমদূত! ৬ ফিট লম্বা, কামড়ালে এক মিনিটে মৃত্যু! সেটা নিয়েই ১৫ কিমি পাড়ি!
শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র জাটি জানান, “দীর্ঘদিন এমন শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত। ছবি আঁকা, যোগব্যায় অ্যাথলেটিকস অনুশীলন, লোকগীতি চর্চা করার পাশাপাশি মাটির মূর্তি তৈরী করা নেশা। ছাত্রজীবন থেকে শুরু হয় এই কাজ।” তিনি আরও জানান, “ছাত্র অবস্থায় এমন মূর্তি তৈরি শিক্ষা নেওয়া। তারপর শিক্ষকতার পাশাপাশি সুযোগ পেলে বিভিন্ন কাজকর্মের ফাঁকে মূর্তি তৈরি করা। এভাবেই এক এক করে অসংখ্য মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই সমস্ত মূর্তি বিক্রির জন্য নয়, সুভাষ বাবু জানান, অজান্তা ইলোরা মূর্তির প্রাথমিক ধারণা গ্রামের মানুষ ও শিশুদের সামনে তুলে ধরাই মূল উদ্দেশ্য।
রাকেশ মাইতি