কুলিদের অভিযোগ, ব্যাটারি গাড়ির উপর নজরদারি নেই। যাদের জন্য এই পরিষেবা, তাদের অনেকেই গাড়ি পাচ্ছেন না। সাধারণ যাত্রীদের লাগেজ বহনে এই গাড়ি ব্যবহার করায় কুলিদের আয়ের পথ ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। যেখানে উদ্দেশ ছিল, বিশেষ শ্রেণির যাত্রীদের দ্রুত ও নিরাপদ পরিষেবা দেওয়া, সেখানে এখন ব্যাটারি চালিত ওই গাড়িতে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি বড় বড় লাগেজ, ব্যাগ, বাক্স অনায়াসে বহন করা হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই কাজ হারাচ্ছেন কুলিরা, কমছে আয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বয়স কেবলই সংখ্যা! ‘রান রঞ্জন রান’ মন্ত্রে ম্যারাথনে ছুটছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ম্যাঙ্গো, অবাক করা প্রতিভা
কুলিদের অভিযোগ আরও গুরুতর, ব্যাটারির গাড়িতে লাগেজ তোলা হচ্ছে নিয়ম ভেঙে, অথচ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কুলিদের দাবি, অনেক সময় ব্যাটারি গাড়ির চালকেরা অতিরিক্ত টাকার লোভে সাধারণ যাত্রীদের মালপত্র তুলছেন। যার ফলে নির্দিষ্ট যাত্রী, বিশেষভাবে সক্ষম, প্রৌঢ়, রোগী – গাড়ি না পেয়ে প্ল্যাটফর্মে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে কুলিরা দাঁড়িয়ে থেকেও কাজ পাচ্ছেন না। এক দিনে যেটুকু রোজগার হওয়ার কথা তার অর্ধেকও হচ্ছে না। কুলিদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে রোজগারের অভাবে অনেকেই পেশা ছাড়তে বাধ্য হবেন। রেল প্রশাসনের কাছে কুলিদের স্পষ্ট দাবি, ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবহার নিয়ে কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনা হোক। না হলে চলতে থাকা এই বিশৃঙ্খলায় আরও গভীর সংকটে পড়বে হাওড়া স্টেশনের কুলি ও তাদের পরিবাররা।





