গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, যে রাস্তায় আগে সকাল থেকেই ট্যাক্সির জন্য যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকত, সেখানে এখন সারি সারি ট্যাক্সি খালি পড়ে থাকতে হচ্ছে। ট্যাক্সি চালকদের অভিযোগ, প্রতিদিনের খরচ—ডিজেল, গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, পার্কিং চার্জ সব কিছু মিলিয়ে যা আয় হচ্ছে তা মোটেই যথেষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় শুরু নলেন গুড় বিক্রি! রমরমিয়ে চলেছে ব্যবসা, ভাল লাভের আশায় দিনরাত করে দিচ্ছেন শিউলিরা
advertisement
অন্যদিকে, বাসগুলোর ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি একই রকম। বেশিরভাগ বাস খালি সিট নিয়ে রুটে ঘুরছে। অনেক ক্ষেত্রেই মালিকদের নির্দেশ, যাত্রী না থাকলেও সার্ভিস বজায় রাখতে হবে ফলে লোকসানের বোঝা আরও বাড়ছে। অনেক বাস কর্মীর বক্তব্য, মেট্রো চালুর পর যাত্রীর সংখ্যা কমে ৩০–৪০% পর্যন্ত নেমে এসেছে। বাস কর্মীদের মাসিক ইনসেনটিভ ও কমিশনও কমতে শুরু করেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাস কন্ডাক্টরের অভিযোগ, আগে দিনে অন্তত আট নয় বার পুরো সিট ভর্তি করে চলত বাস। এখন তিন চার ট্রিপেই অর্ধেক খালি। ট্যাক্সি চালকদেরও একই সুর দিন শেষে হাতে কিছুই থাকছে না বলেই দাবি অনেকের। পরিবহণ সংগঠনের দাবি, পরিস্থিতি যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, তবে ভবিষ্যতে ট্যাক্সি ও বাস পরিষেবার সংখ্যা কমে যেতে পারে, যা শহরের বিভিন্ন রুটে সাধারণ মানুষের উপরও বিপরীত প্রভাব ফেলবে। অনেক রাস্তায় মেট্রো সংযোগ না থাকায়, ওই রুটগুলোতে পরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। যাত্রীদের দিক থেকে মেট্রো পরিষেবা নিঃসন্দেহে স্বস্তির—কিন্তু তার ফলে বহু পরিবার নির্ভরশীল এই পরিবহণ কর্মীদের উপর নেমে এসেছে চরম আর্থিক অনিশ্চয়তা।





