বন্যপ্রাণ আইনের সর্বোচ্চ সংরক্ষণের আওতায় এই প্রাণীটি। এছাড়া আইইউসিএন-এর রেড লিস্ট বুকে এনডেঞ্জার্ড তালিকা ভুক্ত রয়েছে বলেও জানা যায়। এদের ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানেও দেখা যায়। বর্তমান সময়ে নানা কারণে বন্যপ্রাণীরা বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। গ্রামাঞ্চল ও জলাভূমির মাঝখান দিয়ে চওড়া রাস্তা তৈরি হচ্ছে। তাতেই বিপদ বাড়ছে ওদের।
advertisement
আরও পড়ুন : একটা দুটো নয়, একসঙ্গে ডজন ডজন কচ্ছপ! মালদহ স্টেশনে পুলিশের বড় সাফল্য
বাসস্থান ও খাবার সংগ্রহের মত নানা কারণে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাবার সময়, প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে বন্য প্রাণীরা। আবার অনেক সময় অসচেতন মানুষের হাতেও এদের মৃত্যু হয়। তবে বর্তমান সময়ে বন বিভাগ এবং পরিবেশ কর্মীদের তৎপরতার জেরে মানুষের হাতে বন্যপ্রাণ হত্যার ঘটনা কমেছে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কা বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন : শুধু মুম্বই নয়, আলোচনায় খাড় গ্রামও! প্রতিমা তৈরিতে ‘ম্যারাথন মোড’ অন
এদিন সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বিলুপ্তপ্রায় কাছিম’টি। ফলে খুশি পরিবেশ কর্মীরা। বন্যপ্রাণ রক্ষাকরী সংস্থার সদস্য কুন্তল মুখার্জী প্রাণে বাঁচায় ময়ূরী কাছিম’কে। কাছিমটিকে মাঝ রাস্তায় দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই ছেড়ে দিলে, পুনরায় রাস্তায় উঠে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে, সেকথা ভেবে রাস্তা থেকে তুলে আনেন লুপ্তপ্রায় কাছিম’টি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে সংস্থার সভাপতি দীপঙ্কর পোড়েল জানান “বর্ষার সময় সর্বত্র জলমগ্ন হলে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে। রাস্তার উপর উঠে পড়লে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা বাড়ে। তবে আমাদের লাগাতার সচেতনতা প্রচারের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদের সংরক্ষন কাজে সুবিধা হচ্ছে। হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ ও এই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে প্রাণীটিকে মুক্ত করা হয়।