মানুষের জন্য কাজ করতে রাজনৈতিক পদের প্রয়োজন হয় ঠিকই, আবার পদ না থাকলেও যে মানুষের জন্যও কাজ করা যায়। সেই কথাই যেন আরও একবার জনসমক্ষে তুলে ধরলেন পাঁচলার লড়াকু নেতা ফরিদ মোল্লা। দরিদ্র পরিবারে কন্যাদান, পরিবারে মাথার ছাদ হারিয়ে ফেলা বা জলজমা সমস্যা সমাধান নানাভাবে সহযোগিতা প্রদানে তাঁদের কাছে ভরসার ফরিদবাবু।
advertisement
আরও পড়ুন: ৬৫-র বয়সেও দমে যান নি! সংসার চালাতে সাহায্য ছেলেকে, গঙ্গা পাড়ে বসে রোজ করেন এই কাজ
২০১১ সালের আগে বাম জামানায় যেভাবে এক ডাকে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতেন। সেই ধারা ২০২৫ সালেও অব্যাহত। স্থানীয় মানুষও বিপদে পড়া মানে ফরিদ মোল্লার কাছে পৌঁছান। মানুষের অসহায় দিনরাত মানুষের পাশে ফরিদ মোল্লা। এলাকায় এমন কোন ঘটনা নেই যেখানে তিনি মানুষের অসহায়তার ডাক পেয়ে ছুটে যাননি।স্থানীয়দের কথায়, জাতি ধর্ম দল কোন কিছুর বাদ-বিচার না করেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ফরিদ বাবুর আদর্শ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্ষার আগেই বন্যার দুর্ভোগ পাঁচলার গ্রামে। গৃহবন্দী প্রায় ৫০০০ মানুষ। মানুষের বাড়ির চতুরদিক জল থৈ থৈ। জমা জলের দুর্ভোগে পাঁচলা কুলাই গ্রামের শেখপাড়া, কোলেপাড়া, ঘোষপাড়ারমত বিভিন্ন এলাকা। বর্ষার বহু আগে থেকেই জমা জল এলাকায়। গ্রামে এমন সমস্যা গত তিন বছর। গ্রামবাসীর অভিযোগ কারখানা নির্মাণ হবার পর থেকেই গ্রামের জল জমার সমস্যার সূত্রপাত। স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিডিও সহ বিভিন্ন দফতরে জানান হয়েছে। কিন্তু সেভাবে কাজ হয়নি। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে স্থানীয় পঞ্চায়েতের ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ।
এদিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন দফতরে এবং স্থানীয় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন ফরিদ মোল্লা। ফলস্বরূপ কিছুটা জলস্তর কমানো সম্ভব হয়েছে। দুর্ভোগ সম্পূর্ণরূপে কমেনি। স্থানীয়রা জানান, এমন দুর্ভোগে জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের আশ্বাস এবং তাদের দেখভাল আশা করেন। এ প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদ মোল্লা জানান, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে মূল লক্ষ্য হল জনগণের সেবা। শাসকের অন্যায় বিরোধিতার পাশাপাশি মানুষের অসুবিধায় ঝাঁপিয়ে পড়াই একজন আদর্শ নিশার কাজ।
এ প্রসঙ্গে বেলডুবি অঞ্চল সভাপতি গুরুদাস জানান, পাঁচলা বিধানসভার বেলডুবি সাহাপুর এবং বিকি হাকোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নিকাশি সমস্যা দীর্ঘদিনের। প্রায় ৫ দশক সাতঘড়িয়া খাল সংস্করণ না হওয়ার ফলে বিভিন্ন এলাকায় জল জমা সমস্যা বাড়তে থাকে। সেই কারণেই মূলত কুলাইগ্রামে জল জমা সমস্যা। তবে সমস্যা সমাধানে কয়েক মাস আগে থেকেই বিধায়ক গুলশান মল্লিকের প্রচেষ্টায় ৫.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪.৮ কিলোমিটার খাল সংস্করণের কাজ শুরু হয়েছে আগামী ৬ থেকে ৭ মাস আগে। কিছুদিনের মধ্যেই খাল সংস্করণের কাজ সম্পূর্ণ হবে। কাল সংস্করণ হলে বিনা বাঁধায় পাঁচলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জল সারেঙ্গা হয়ে হুগলি নদীতে মিশবে।
রাকেশ মাইতি