বেশকিছুটা নিয়ে যাওয়ার পর চাদর পুরোটা গুটিয়ে যেতেই রাস্তার উপরে পড়ে যান মহিলা। তখনই তাঁর মাথার উপর দিয়ে চলে যায় লরির পিছনের চাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার। দুর্ঘটনার (Howrah road accident) সময়ে বিপদ বুঝতে পেরে মেয়ের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে মায়ের শেষ কর্তব্য পালন করেন শম্পাদেবী। শুধু হাত ছাড়িয়েই না, ধাক্কা দিয়ে মেয়েকে রাস্তার ধারে সরিয়ে দেন। মা নিজে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েও মেয়েকে আগলে রাখলেন। এই দৃশ্য কাঁদিয়ে তুলেছে দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজনদের।
advertisement
আরও পড়ুন - প্রয়াত কবি শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়! সাহিত্য জগৎ শোকস্তব্ধ
পাঁচলা থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচলার জুজারশাহের বাসিন্দা শম্পা মান্না তাঁর মেয়ে পূর্বাশাকে নিয়ে কুলডাঙ্গা বিবেকানন্দ বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে ঘটে এই দুর্ঘটনা। ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছেয চালক ও খালাসিকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রাই। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে যাওয়া পূর্বাশাও কিছুটা আহত হয়েছে। তবে তার থেকে বেশি মানসিক ভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছে শিশুটি। চোখের সামনে মায়ের মৃত্যু দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সে।
আরও পড়ুন - মোবাইলে নয়, পার্কে স্কুল! অনলাইন ক্লাস থেকে মুক্তি পেয়ে বেজায় খুশি পড়ুয়ারা
শম্পা দেবীর স্বামীর দাবি, নিজের হাতেই মেয়েকে বড় করে তোলার স্বপ্ন ছিল শম্পা দেবীর। মায়ের মৃত্যুর পর কীভাবে মা হারা সন্তানকে বড় করে তুলবেন তা বুঝতে পারছেন না। মেয়ের শিক্ষা দীক্ষা কী করে হবে তার থেকে বেশি চিন্তা মেয়েকে এই বীভৎস স্মৃতি থেকে কী করে বার করতে পারবেন। সেই চিন্তাই ঘুর পাক খাচ্ছে গোটা পরিবারের মাথায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
দেবাশিস চক্রবর্তী