তখন রাজকুমার স্কুল পড়ুয়া, বন্ধুর মায়ের কাছে প্রথম এই পুতুল তৈরি শেখা। তার পর শৈশব পেরিয়ে কৈশোর, যৌবন, এখন তাঁর প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়স। দশকের পর দশক পলি মাটি দিয়ে তৈরি করছেন বাঁশি পুতুল। এই পুতুলের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে হরপ্পা মহেঞ্জোদারো সভ্যতার সঙ্গে। ইতিহাস ঘাঁটলে বোঝা যায়, প্রায় তিন থেকে পাঁচ হাজার বছর পুরনো এই পুতুল।
advertisement
হাওড়ার রাজকুমার দেবনাথ কয়েক দশক ধরে বাঁশি পুতুল তৈরি করছেন। পশু-পাখি মিলিয়ে ১০-১২ রকম বাঁশি পুতুল তৈরি হয় শিল্পীর হাতে। ক্ষুদ্র আকারের বাঁশি পুতুলগুলি হারের লকেট হিসাবে ব্যবহার করেছেন। এই হারের বিপুল চাহিদাও রয়েছে।
বর্তমান সময়ে বাঁশি পুতুলকে বিভিন্নভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরছেন শিল্পী। ধীরে ধীরে চাহিদা বাড়ছে। সারা বাংলায় এই শিল্পকর্ম খুব কমই দেখা মেলে। হাওড়া জেলায় একমাত্র বাঁশি পুতুল শিল্পী রাজকুমার দেবনাথ।





