জানা যায়, চন্দ্রযান ২ এর পর চন্দ্রযান-৩ এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ইসরোর সিনিয়র সাইন্টিস্ট অমিত মাজির। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের খিলা গ্রামেই ছোটো থেকে অমিতের বড়ো হয়ে ওঠা। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক লেখাপড়া গ্রামেই সম্পন্ন হয়। খিলা স্পেশাল কেডার প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রাথমিক স্তরে পড়াশোনা। তারপর খিলা গোপীমোহন শিক্ষা সদনে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। এর পর বেলুড়ে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ও পরে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে বি.টেক করেন বিজ্ঞানী অমিত বাবু। এরপর ২০০৬ সালে ইসরোয় যোগ দেওয়া। অমিত বাবুরা তিন ভাইবোন। দুই বোনের কোলে ছোট ভাই অমিত।
advertisement
আরও পড়ুন: আর দেরি নয়, বড় বদল আসতে চলেছে তৃণমূলে? লোকসভার আগে দারুণ চমক
পারিবারিক আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মাঝেও খিলা গ্রামের জামতলার বাড়ি থেকেই অমিত বাবুর স্বপ্ন দেখা শুরু। ছোটো বেলায় যেমন দুরন্ত ছিল তেমনি পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও ভীষণ পারদর্শী ছিল। কর্মসূত্রে মা, স্ত্রী ও দু’ই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। তবে নিজের গ্রাম, গ্রামের মানুষ, স্কুল এবং শিক্ষক মহাশয়দের ভুলে যায়নি। বর্তমানেও খিলা গ্রামের নিবিড় যোগাযোগ তার। চরম ব্যস্ততার মাঝেও মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসেন। নিয়মিত খিলা গোপীমোহন স্কুলের শিক্ষকদের সাথেও যোগাযোগ রাখেন। পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সময় কাটান।
আরও পড়ুন: ভাগ হবে মেদিনীপুর জেলা, কী নাম হবে? সামনেই বড় সিদ্ধান্ত! উঠল নামের দাবিও
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান-২ এর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন অমিত বাবু। চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণের লাইভে বছর চুয়াল্লিশের অমিত মাজির ছবি ভেসে উঠতেই উচ্ছাস ও আবেগে ফেটে পড়েন গ্রামের মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালেই অমিত বাবুর স্কুল খিলা গোপীমোহন শিক্ষা সদনের পক্ষ থেকে তাঁকে ফোন মারফত শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে তাঁদের কৃতি পড়ুয়ার অভাবনীয় কৃতিত্বকে তুলে ধরেন শিক্ষকেরা।
—— রাকেশ মাইতি





